সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নরেন্দ্র মোদি এবং অমিত শাহর বিরুদ্ধে সংসদীয় তদন্তের দাবি জানালেন রাহুল গান্ধী। শেয়ার বাজারে 'দুর্নীতি' নিয়ে যৌথ সংসদীয় কমিটি গড়ে দুই নেতার বিরুদ্ধে তদন্ত করতে হবে বলে দাবি করলেন তিনি। সেই সঙ্গে প্রশ্ন তোলেন, মোদি-শাহর কী ভূমিকা রয়েছে শেয়ার বাজারের রেকর্ড পতনের নেপথ্যে, সেটাও প্রকাশ্যে আসা দরকার। উল্লেখ্য, নির্বাচন শেষ হওয়ার পর এক্সিট পোল প্রকাশ্যে আসতেই চড়চড়িয়ে উত্থান হয়েছিল শেয়ার বাজারে। কিন্তু ভোটের ফলাফলে বিজেপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানোর ইঙ্গিত মিলতেই গত চার বছরের নিকৃষ্টতম পারফরম্যান্স করে শেয়ার বাজার।
[আরও পড়ুন: দুই নির্দলের যোগদানে লোকসভায় সেঞ্চুরি কংগ্রেসের! শক্তিবৃদ্ধি ইন্ডিয়া জোটের]
লোকসভা নির্বাচন চলাকালীন প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi) এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Amit Shah) দুজনেই দাবি করেছিলেন, এবার রেকর্ড আসন জিতে ক্ষমতায় ফিরবে বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ। তার সঙ্গেই রেকর্ড গড়বে শেয়ার বাজারও। তাই বিনিয়োগকারীরা ৪ জুন ভোটের ফলপ্রকাশের আগে বেশি করে শেয়ার কিনে ফেলুন এমনটাই পরামর্শ দিয়েছিলেন অমিত শাহ। সেই মন্তব্যকে হাতিয়ার করেই বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে সরব হন রাহুল (Rahul Gandhi)। তিনি বলেন, "এই প্রথমবার দেখলাম প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীরা শেয়ার বাজার এবং সেখানে বিনিয়োগ করা নিয়ে কথা বলছেন। কিন্তু কেন পাঁচ কোটি বিনিয়োগকারীকে শেয়ার কেনার পরামর্শ দিলেন তাঁরা? বিনিয়োগ নিয়ে পরামর্শ দেওয়া তো তাঁদের কাজ নয়। আর এমন সংস্থাকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তাঁরা এইসব পরামর্শ দিয়েছেন, সেই সংস্থার মালিকের বিরুদ্ধে সেবির তদন্ত চলছে।"
[আরও পড়ুন: রবিসন্ধ্যায় শপথ মোদির! দিল্লিতে তুঙ্গে তৎপরতা]
ভুয়ো বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে বিজেপির যোগ রয়েছে বলেও সরাসরি দাবি করেন রাহুল। তাঁর মতে, ভুয়ো এক্সিট পোল ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল যেন সেই ফলাফলের ভিত্তিতে আমজনতা শেয়ার কেনেন। বিদেশি বিনিয়োগকারীরা একদিনের জন্য বিনিয়োগ করেছিলেন যেন শেয়ারের সূচক আকাশ ছুঁয়ে ফেলে। সাংবাদিক সম্মেলনে রাহুলের দাবি, "আমরা বুঝতে পারছি এটা একটা বড়সড় কেলেঙ্কারি। তাই যৌথ সংসদীয় কমিটি গড়ে এই ঘটনার তদন্ত করা উচিত। কারণ প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশে দেশবাসী শেয়ার কিনলেন। মোদি বারবার বলেছিলেন শেয়ার বাজারে রেকর্ড উত্থান হবে। কিন্তু তাঁর কাছে নির্বাচন সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য ছিল। সেখানে স্পষ্ট ছিল যে বিজেপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না। তাহলে কেন এইভাবে দেশবাসীকে পরামর্শ দিলেন তিনি?" রাহুলের মতে, আদানি গোষ্ঠী কেলেঙ্কারির চেয়েও এই শেয়ার দুর্নীতি অনেক বড়মাপের। তাই অবিলম্বে গোটা বিষয়টির তদন্ত হওয়া উচিত।