বিশেষ সংবাদদাতা, নয়াদিল্লি: ইন্ডিয়া (INDIA) জোটের শরিকদের সঙ্গে কেন জোট হয়নি? সদ্য পরাজিত তিন রাজ্যের শীর্ষনেতৃত্বের কাছ থেকে জবাবদিহি তলব করলেন রাহুল গান্ধী। দলের কর্মসমিতির বৈঠকে রাজস্থান ও ছত্তিশগঢ়ের দুই মুখ্যমন্ত্রী ও মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে জোট নিয়ে ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন বলে এআইসিসি সূত্রে খবর।
আবার লোকসভা নির্বাচনের কথা ভেবেই দলের সংগঠনে ব্যাপক রদবদলের সিদ্ধান্ত হয় বৈঠকে। সেইমতো দুটি রাজ্য জয়ের অন্যতম কারিগর ছিলেন দীপা দাসমুন্সি। এবার বাংলায় যখন সিপিএমের সঙ্গে কংগ্রেসের দোস্তি, আর কেরলে কুস্তি। তখন তেলেঙ্গানা ও লক্ষ্মদ্বীপের পাশাপাশি সেই কেরলের দায়িত্ব দেওয়া হল বাংলার কংগ্রেস নেত্রীকে। এবার মোদির বিরুদ্ধে বারাণসী অথবা রায়বেরেলি থেকে লড়তে পারেন সোনিয়া তনয়া প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। তাঁকে উত্তরপ্রদেশের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিলেন মল্লিকার্জুন খাড়গে।
[আরও পড়ুন: প্রেম প্রস্তাবে ‘না’, দলীয় কার্যালয়ে ডেকে ছাত্রনেত্রীর ‘শ্লীলতাহানি’ TMCP নেতার]
মায়ের ছেড়ে দেওয়া আসন, নাকি মোদির বিরুদ্ধে প্রার্থী। সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব প্রিয়াঙ্কাকেই ছেড়ে দিল দল। তবে যেখানেই প্রার্থী হোন সোনিয়া কন্যা প্রচারে মূলত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে তাড়া করে বেড়াবেন। মোদিকে কাউন্টার করাতে জয়রাম রমেশের পাশাপাশি প্রিয়াঙ্কাকেও ব্যবহার করবে দল। তিনি সেই কাজ শুরুও করে দিয়েছেন। কোনও কোনও মহল মনে করছে, প্রিয়াঙ্কাকে বারাণসীতে নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে প্রার্থী করা হলে উত্তরপ্রদেশ তো বটেই লাগোয়া বিহারেও প্রভাব পরবে। দলের একাংশেও সেটাই মত। তবে দলের মুখ থাকবেন দাদা রাহুলই। বৈঠকে সেই বিষয়েও আলোচনা হয় বলে জানা গিয়েছে।
হিমাচল ও তেলেঙ্গানা বিধানসভা নির্বাচনে পর্যবেক্ষক করা হয় দীপাকে। দু’টি রাজ্যেই জয় পায় কংগ্রেস। তাই তাঁর জন্য পুরস্কার অপেক্ষা করছিল। দু’টি রাজ্যে জয়ের জন্য গান্ধী পরিবার তাঁর দায়িত্ব আরও বাড়িয়ে দিল। এছাড়াও সংগঠনের দায়িত্বে কিছু রদবদল করের কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। সদ্য ছত্তিশগড়ে বিধানসভা ভোটে বিপর্যয় হয় কংগ্রেসের। সেখানে সচিন পাইলটকে দায়িত্ব দিয়ে পাঠাল এআইসিসি। মুকুল ওয়াসনিককে গুজরাট, রাজীব শুক্লাকে হিমাচলের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার দলের জাতীয় কর্ম সমিতির বৈঠকে আলোচনার ভিত্তিতেই দায়িত্ব বণ্টন বলে জানা গিয়েছে।