ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: দলমত নির্বিশেষে তিনি ছিলেন বিশেষ শ্রদ্ধার। স্বচ্ছ ভাবমূর্তির কারণে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা সমীহ করতেন তাঁকে। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর মৃত্যুর পর সোশাল মিডিয়ায় শোকবার্তা দিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। এবার তাঁর স্ত্রী মীরা ভট্টাচার্যকে চিঠি পাঠিয়ে বুদ্ধস্তূতি করলেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা তথা কংগ্রেস (Congress) সাংসদ। বুদ্ধবাবুকে বাংলার উন্নয়নের দিশারী বলে চিঠিতে উল্লেখ করে তাঁর বার্তা, এমন একজন মানুষকে হারাতে হল যাঁর হাত ধরে অনেক উন্নয়নমূলক কাজ রূপায়ণ ঘটেছে পশ্চিমবঙ্গে।
মীরাদেবীকে লেখা রাহুল গান্ধীর চিঠি।
বুদ্ধজায়া মীরাদেবীকে পাঠানো চিঠিতে রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) লিখেছেন, ‘‘আদর্শগত গোঁড়ামির সীমা অতিক্রম করে, নানা প্রতিকূলতার মোকাবিলা করে তিনি বাংলার উন্নয়নে নতুন যুগের সূচনা করেছিলেন। অনেক চ্যালেঞ্জ নিয়ে রাজ্যকে এগিয়ে নিয়ে যেতে একনিষ্ঠভাবে কাজ করে গিয়েছেন। আজ বাংলা যেখানে দাঁড়িয়ে, তার অন্যতম কারিগর বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য (Buddhadeb Bhattacharya)।’’ পাশাপাশি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বৌদ্ধিক দিকের কথাও চিঠিতে উল্লেখ করেছেন তিনি। চিঠিতে তিনি লেখেন, ''তাঁর মেধা আর সংস্কৃতি চর্চার সঙ্গে যাঁরা পরিচিত, তাঁদের কাছে বিশেষ ক্ষতির। আমি আন্তরিকভাবে সমব্যথী।''
[আরও পড়ুন: ‘দেশ বাঁচাতে, দল বাঁচাতে’, রাজনীতির ময়দানে নামছেন হাসিনাপুত্র জয়!]
বৃহস্পতিবার সকালে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর প্রয়াণের খবর পেয়ে সোশাল মিডিয়ায় (Social Media) শোকবার্তা জানিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, মল্লিকার্জুন খাড়গেরা। সকলেই পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেন। কিন্তু শুক্রবার বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর শেষযাত্রার পর মীরাদেবীর (Meera Bhattacharya) কাছে পৌঁছয় সোনিয়াপুত্রের বিশেষ বার্তা। তাতে বুদ্ধবাবুর কীর্তির কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন রাহুল।