সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কেরলের ওয়ানড়ে রাহুল গান্ধীর কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল বাম ছাত্র সংগঠন এসএফআইয়ের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে সেই তাণ্ডবের ভিডিও। গোটা ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন কংগ্রেস নেতারা। তবে এ নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থার আশ্বাস দিয়েছেন সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন।
স্থানীয় কংগ্রেস নেতাদের অভিযোগ, রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) সাংসদ অফিসে ঢুকে কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকদের বেধড়ক মারধর করেন এসএফআই কর্মীরা। তাঁদের হাতের পতাকা দেখেই নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে যে তাঁরা SFI-এর প্রতিনিধি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে খবর। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত আটক করা হয়েছে আট এসএফআই কর্মীকে।
[আরও পড়ুন: ষাট বছরে পা দিয়ে বিশাল অনুদানের ঘোষণা আদানির, বিশেষ ছবি পোষ্ট করে শুভেচ্ছা জানালেন স্ত্রী]
জঙ্গলের বাফার জোন ও সুরক্ষিত অভয়ারণ্য নিয়ে যে বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছিল, তা নিয়ে নীরব রাহুল গান্ধী বলে অভিযোগ তোলে এসএফআই। এর প্রতিবাদে আজ, শুক্রবার মিছিলেও শামিল হন বাম ছাত্র সংগঠনের সদস্য-সমর্থকরা। পুলিশ সূত্রে খবর, সেই সময়ই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। রাহুলের অফিসে চড়াও হয়ে রীতিমতো তাণ্ডব চালান বিক্ষোব্ধু এসএফআই সমর্থকরা। কংগ্রেসের (Congress) অভিযোগ, ওয়ানড়ের কালপেট্টায় কংগ্রেস বিধায়ক রাহুলের কার্যালয়ে উপস্থিত কর্মীদের বেধড়ক মারধরও করা হয়।
সোশ্যাল মিডিয়ায় যে ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়েছে, তাতে দুই পক্ষের হাতাহাতির ঘটনা স্পষ্ট। তবে কে কাকে মারছে, তা বোঝা যাচ্ছে না। এই ঘটনার পরই রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলার চূড়ান্ত অবনতি হয়েছে বলে দাবি করেন কেরল বিধানসভার বিরোধী দলনেতা ভিডি সাথিসান। তাঁর কথায়, সিপিএম বর্তমানে সংগঠিত মাফিয়ায় পরিণত হয়েছে। এদিকে এই ঘটনার নিন্দা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নও। বিষয়টি খতিয়ে দেখে উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হবে বলেও আশ্বাস দেন তিনি।