সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দুই কংগ্রেস শাসিত রাজ্য ইতিমধ্যেই কৃষিঋণ মকুবের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে দিয়েছে। রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটও জানিয়েছেন দশদিনের মধ্যেই কৃষকদের দেনার ভার থেকে মুক্তি দেবে সরকার। তিন রাজ্যে সাফল্য এবং কংগ্রেস শাসিত রাজ্যগুলির ঋণ মকুবের সিদ্ধান্তকে হাতিয়ার করে এবার মোদিকে কাঠগড়ায় তুললেন কংগ্রেস সভাপতি। তিন রাজ্যের সাফল্যে বলীয়ান রাহুল বলেন, “যতদিন না কৃষকদের ঋণ মকুব হচ্ছে ততদিন প্রধানমন্ত্রীকে ঘুমাতে দেব না, বিশ্রাম নিতে দেব না।”
[ঋণ মকুবের পাশাপাশি ধানের সহায়ক মূল্য বৃদ্ধি, শপথ নিয়েই চমক বাঘেলের]
শপথ নেওয়ার পরই দুই কংগ্রেসী মুখ্যমন্ত্রী কৃষকদের ঋণ মকুবের কথা ঘোষণা করেছেন। সেই সঙ্গে ছত্তিশগড়ে ধানের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য একধাক্কায় দেড়গুণ করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে কংগ্রেস সভাপতি হলেন, “কংগ্রেস শাসিত রাজ্যগুলিতে কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে।” এরপরই নরেন্দ্র মোদিকে আক্রমণ শানান কংগ্রেস সভাপতি। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী ভারতকে দু’ভাগে ভাগ করেছেন। একদিকে রয়েছেন গরিব, কৃষক, যুবসমাজ এবং ছোট ব্যবসায়ীরা। অন্যদিকে আছেন ভারতের শীর্ষ স্থানীয় শিল্পপতিরা। উনি ৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা শিল্পপতিদের উপহার দিয়েছেন। অথচ, কৃষকদের একটি পয়সাও মকুব করেননি। যতদিন না কৃষকদের ঋণ মকুব হচ্ছে আমরা মোদিকে ঘুমোতে দেব না। সব বিরোধী দল একসঙ্গে কাজ করব।”
[‘রাহুল পাপ্পু নয়, এবার বিয়ে করে পাপা হওয়া উচিত’, পরামর্শ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর]
এদিন বিমুদ্রাকরণ এবং রাফালে ইস্যুতেও মোদিকে তোপ দাগেন রাহুল। কংগ্রেস সভাপতি বলেন,”নোট বাতিল বিশ্বের সবচেয়ে বড় দুর্নীতি।” রাফালে ইস্যুতে সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা খেলেও দমছেন না কংগ্রেস সভাপতি। তিনি বলেন, “রাফালে ইস্যুতে জেপিসি তদন্ত হলেই সব পরিষ্কার হয়ে যাবে। “