সুব্রত বিশ্বাস: চলতি বছরের ডিসেম্বরেই দেশে চলবে ডিজেল ও বিদ্যুৎবিহীন ট্রেন। সম্পূর্ণ হাইড্রোজেন চালিত এই দেশীয় প্রযুক্তির ট্রেন প্রথমে চলবে দেশের আটটি হেরিটেজ রুটে। এ নিয়ে রেল যে প্রকল্প অধিগ্রহণ করেছে, তার নাম ‘হাইড্রোজেন ফর হেরিটেজ’। এই ট্রেনের নাম ‘বন্দে মেট্রো’ হবে বলে জানিয়েছে রেল। রাজ্যের মধ্যে প্রথম দার্জিলিংয়ে এই ট্রেন চলবে।
পাশাপাশি অন্য যে সাতটি হেরিটেজ রুটে ট্রেন চলবে, সেগুলো হল মাধেরান হিল, কালকা-শিমলা, কাংড়াঘাট, মিলমোরা বাঘাই, বাহু পাতালপানি, নীলগিরি মাউন্টেন, মারওয়াড় দেবগড়। পাশাপাশি বন্দে মেট্রো অন্য রুটেও চালানো হবে। দেশে গ্রিন এনার্জি বাড়াতে এই ট্রেন চালানো হবে বেশি সংখ্যায়। বিদ্যুৎ ও ডিজেলবিহীন এই ট্রেনের জন্য প্রচুর অর্থ সাশ্রয় হবে বলে রেল জানিয়েছে।
[আরও পড়ুন: দীপাবলিতে ‘সুপ্রিম’ শুভেচ্ছা, তবে ‘পরিবেশবান্ধব বাজি’তে না শীর্ষ আদালতের]
দেশে এখন ১৩,৫৫৫টি ডিজেল ট্রেন চলে। খরচ ১৩৭ কোটি টাকা। এই ট্রেন নির্মাণ হচ্ছে দেশীয় প্রযুক্তিতে। দূষণ নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি খরচও কমবে। রেল সূত্রে জানানো হয়েছে, ১৬০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় চলতে সক্ষম ট্রেনের রেঞ্জ হবে এক হাজার কিলোমিটার। মাত্র কুড়ি মিনিটে জ্বালানি ভরা যাবে। এক কিলো হাইড্রোজেন সাড়ে চার লিটার ডিজেলের সমান। নর্দার্ন রেলের ওয়ার্কশপে হাইড্রোজেন ট্রেনের রক্ষণাবেক্ষণ হবে। সোনিপথ ও জিনখণ্ডের মধ্যে ট্রেনটি চলাচলের পরীক্ষা হবে।
বিশ্বে দুটি দেশে এখন এই হাইড্রোজেন ট্রেন চলছে। জার্মানি ও চিনে। জার্মানিতে ২৭টি ট্রেনের জন্য খরচ হয়েছে ৪,৮৯১ কোটি টাকা। একটি ট্রেনের জন্য খরচ পড়ছে ১৮২ কোটি টাকা। ভারতে এই ট্রেনের জন্য ৫০ কোটি টাকা খরচ হবে বলে রেল জানিয়েছে। ভারতে এই প্রযুক্তির ট্রেন অর্থ সাশ্রয়ের পাশাপাশি দূষণমুক্ত করবে। ট্রেনের থেকে প্রকৃতিতে শুধু জল আর বাষ্প ছাড়া অন্য কোনও কিছু নির্গত হবে না। ভারতের মানুষ এতকাল ডিজেল ও বিদ্যুৎচালিত ট্রেনে চড়েছেন। এবার হাইড্রোজেন চালিত ট্রেনে চড়বেন এ বছরের শেষে।