সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২৫ ঘণ্টা পার। বুধবার সকালেও উঠল না শিয়ালদহ মেন শাখায় জালালখালি হল্ট স্টেশনের রেল অবরোধ। যার জেরে চূড়ান্ত ভোগান্তির শিকার নিত্যযাত্রীরা।
মঙ্গলবারই লোকাল ট্রেন (Local trains) দাঁড় করানোর দাবিতে বিক্ষোভে শামিল হন নদিয়ার (Nadia) জালালখালি এলাকার বেশ কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দারা। সপ্তাহের কর্মব্যস্ত দিন সকাল থেকে রেললাইনে নেমে ট্রেন অবরোধ শুরু করে দেন তাঁরা। দাবি, জালালখানি হল্টে আপ এবং ডাউন শাখার সমস্ত ট্রেন থামাতে হবে। দীর্ঘক্ষণ ধরে সেই অবরোধ চলতে থাকায় শিয়ালদহ (Sealdah) মেন শাখার বহু ট্রেন আটকে পড়ে। সময়মতো গন্তব্যে পৌঁছতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয় যাত্রীদের। মনে করা হয়েছিল, রেলের কর্তাদের সঙ্গে কথাবার্তার মাধ্যমে সমস্যা মিটে যাবে। কিন্তু তেমনটা না হওয়ায় এখনও অব্যাহত অবরোধ। ২৫ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও চলছে বিক্ষোভ। আপাতত অন্য রুট দিয়ে দূরপাল্লার ট্রেন চলাচল করছে।
[আরও পড়ুন: রাজীবদের ‘ঘর ওয়াপসি’তে আপত্তি! ফের অসন্তোষ প্রকাশ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের]
মঙ্গলবার বিক্ষোভকারীরা জানান, জালালখালি হল্ট (Jalalkhali Halt) স্টেশনে সব ট্রেন দাঁড় করাতে হবে। যতক্ষণ না রেল আধিকারিকদের তরফে এই মর্মে লিখিত আশ্বাস মিলছে, ততক্ষণ অবরোধ তুলবেন না তাঁরা। বুধবার সকাল পর্যন্ত সেই আশ্বাস দেওয়া হয়নি বলেই জানাচ্ছেন স্থানীয়রা। তবে জালালখালি হল্টে ট্রেন দাঁড় করানোর দাবি নতুন নয়। এর আগেও একাধিকবার এই একই দাবিতে রেল অবরোধ হয়েছে এখানে। সেসময় দাবি মেনে নেওয়ার মৌখিক আশ্বাস দিয়েছিল রেল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু তাতেও লাভ হয়নি। এখনও এই স্টেশনে অনেক ট্রেনই দাঁড়ায় না। ফলে সেই এলাকার বাসিন্দাদের ট্রেনে ওঠার জন্য অন্যত্র যেতে হয়। আর সেখানেই আপত্তি তাঁদের।
মঙ্গলবার দীর্ঘক্ষণ পরও অবরোধ চলতে থাকায় সেই রুটের দূরপাল্লার ট্রেনগুলিকে অন্য রুট দিয়ে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। ফলে কৃষ্ণনগরগামী কিংবা সেখান থেকে শিয়ালদহের দিকে আসা যাত্রীদের হয়রানির শিকার হতে হয়। গোটা একটা দিন পেরিয়েও যা অব্যাহত।