স্টাফ রিপোর্টার: ব্রিগেডে সভায় দলের উত্তরবঙ্গের কর্মীদের আনতে রেলমন্ত্রকের কাছে দুটি ট্রেন চেয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। বারবার আবেদন, তার জন্য সিকিউরটি ডিপোজিট হিসাবে ২২ লক্ষ টাকা দিয়েও সেই ট্রেন মিলল না।
৮ মার্চ নিউ কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ার থেকে দলের কর্মীদের কলকাতা আনার জন্য ও ১০ তারিখ কর্মীদের ফেরার জন্য নির্দিষ্ট জায়গা পর্যন্ত দুটি ট্রেন রেলমন্ত্রকের কাছে চেয়েছিল তৃণমূল। সেই দুটি ট্রেনের ক্ষেত্রেই ‘অপারেশনাল কনস্ট্রেনটস’ অর্থাৎ ওই দিন ট্রেন চালানোর সীমাবদ্ধতার কারণ দেখানো হয়েছে তৃণমূলকে। যার জেরে তৃণমূলের অভিযোগ, জনগর্জন সভাকে ভয় পেয়ে তাকে আটকাতেই বিজেপি রেলমন্ত্রকের (Indian Railways) উপর চাপ তৈরি করেছে। ট্রেন দিচ্ছে না। দিল্লি যাত্রার সময়ও একই ঘটনার কথা মনে করিয়ে রাজ্যের শাসক দলের স্পষ্ট বক্তব্য, ট্রেন না দিয়ে আমাদের আটকানো যাবে না। দলের কর্মীদের জন্য পর্যাপ্ত বাসের ব্যবস্থা করব। চ্যালেঞ্জ করে আমাদের রোখা যাবে না।
[আরও পড়ুন: ইজরায়েলে মিসাইল হামলা হেজবোল্লার, মৃত ভারতীয় নাগরিক]
তৃণমূলের ব্রিগেড (Brigade) ১০ মার্চ। তার আগেরদিন ও ওইদিন রেল মোট ২৫০ ট্রেন বাতিল করা হয়েছে বলে ইতিমধ্যে ঘোষণা করেছে। কিন্তু মাত্র দুটি ট্রেন চেয়েছিল তৃণমূল। তা-ও দেওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। ব্রিগেডের সভা বানচাল করার ছক থেকেই ট্রেন না দেওয়ার পরিকল্পনা বলে এদিন তৃণমূল ভবন থেকে তোপ দাগে তৃণমূল কংগ্রেস। এদিন এই ইসুতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মন্ত্রী শশী পাঁজা ও ব্রাত্য বসু। শশীর অভিযোগ, “অমিত শাহ যখন সভা করেন তার জন্য স্পেশাল ট্রেন দেওয়া যায়। আসলে ভারতীয় জনতা পার্টি ভয় পাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসকে। ব্রিগেডের ভয় এখন থেকেই! ভয় পেয়েছে বলেই ভাবছে দুটো ট্রেন দিলে ব্রিগেডে হাজার হাজার মানুষ আসতে পারবেন। আর না দিলে কর্মীরা আসতে পারবেন না!” মন্ত্রীর সাফ কথা, “জমিদারি করেছে কেন্দ্রের সরকার। ১০০ দিনের কাজের টাকা আটকে রেখেছে। সেই বঞ্চিতদের নিয়ে আমাদের জনগর্জন সভা হবে। তাদেরও আটকানোর ষড়যন্ত্র করতে চাইছে। ট্রেন বাতিল করে আমাদের কর্মীদের আসা আটকানো যাবে না।”
২৯ ফেব্রুয়ারি প্রথম ট্রেন দুটি চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়। সিকিউরিটি ডিপোজিট হিসাবে ২২ লক্ষ টাকা জমা দেয় তৃণমূল। আইআরসিটিসির কাছে তারা চিঠি দেয়। রেলমন্ত্রকের কাছে এই সংক্রান্ত তৃণমূলের চিঠি সমেত তাদের আবেদন পাঠিয়ে দেয় আইআরসিটিসি। আইআরসিটিসিকে ট্রেন না দেওয়ার জবাব পাঠায় রেল। সোমবার সেই জবাব সমেত চিঠি আইআরসিটিসি পাঠিয়ে দেয় তৃণমূলের সদর দপ্তরে। জানিয়ে দেয় ট্রেন দেওয়া সম্ভব নয়। এর পরই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয় দলীয় নেতৃত্ব। এই প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর অভিযোগ, “বিজেপি ভয় পেয়েছে। ট্রেন বাতিল করে এভাবে তৃণমূলকে আটকানো যাবে না। ট্রেন বাতিল করলে ভাবছে লোকজন আসবে না। আরও দশ গুণ লোক আসবে। আমরা নিজেদের মতো করে বাসের ব্যবস্থা করছি।” তাঁর কথায়, “ট্রেন বাতিল করে বাংলার মানুষের জনগর্জন আটকানো যাবে না। ব্রিগেড সফল হবেই।”