সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনাকালে বদলে গিয়েছিল বিশ্ব। থমকে গিয়েছিল ভারতীয় রেলের (Indian Railways) চাকাও। দীর্ঘদিন গৃহবন্দি ছিলেন দেশের কয়েকশো কোটি মানুষ। ধীরে ধীরে সব ফের স্বাভাবিক হয়েছে। রেল পরিষেবাও স্বাভাবিক হয়েছে। তবে এখনও চালু হয়নি রেলে প্রবীণ নাগরিকদের জন্য ছাড় (Senior Citizen Concession)। সেই ছাড় কবে ফিরবে? সংসদে এই প্রশ্নের উত্তরে রেলের আর্থিক প্রতিকুলতার কথা তুলে ধরলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব (Ashwini Vaishnaw)। কবে প্রবীণ নাগরিকরা কোভিড পূর্বকালের মতো ছাড়া পাবেন তা বলতে পারলেন না। আদৌ ফিরবে কিনা সেই বিষয়েও নিশ্চিত করেননি।
মাঝে সংসদীয় স্থায়ী কমিটি সুপারিশ করেছিল, বিভিন্ন শ্রেণির যাত্রীদের দেওয়া ছাড় ফের কার্যকর করা হোক। তখন চাপের মুখে প্রবীণ নাগরিকদের ছাড় দেওয়ার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করার কথা জানিয়েছিলেন রেল কর্তারা। তবে ছাড়ের বয়সসীমা ৬০ বছর থেকে বাড়িয়ে ৭০ বছর করা হতে পারে বলে জানা গিয়েছিল। যদিও এদিন সেই বিষয়েও নিশ্চিত করেননি রেলমন্ত্রী। বুধবার লোকসভায় মহারাষ্ট্রের সাংসদ নবনীত রানা (Navneet Rana) জানতে চান, কবে প্রবীণ নাগরিকদের ছাড় ফেরাবে রেল? উত্তর অশ্বিনী বৈষ্ণব জানান, বর্তমান ৫৯ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকিতে চলছে রেল। পাশাপাশি রেলকর্মীদের বিপুল অঙ্কের বেতন ও পেনশন সামাল দিতে হচ্ছে। এই অবস্থায় এখনই ছাড়া ফেরানো সম্ভব না।
[আরও পড়ুন: মদ কাণ্ডে উত্তাল ‘ড্রাই’ বিহার, ‘তোমরা মাতাল’, বিধানসভায় বিজেপি বিধায়কদের তোপ নীতীশের]
রেলের খরচের হিসেব দেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। জানান, রেলকর্মীদের পেনশনে খরচ হয় ৬০ হাজার কোটি টাকা, বর্তমানে কর্মরত কর্মীদের বেতনে খরচ হয় ৯৭ হাজার কোটি টাকা। এছাড়াও জ্বালানি খরচ হয় ৪০ হাজার কোটি টাকা। এরপরেই মন্ত্রী জানান, অবস্থা সামাল দিতে গত বছর ৫৯ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিয়েছে কেন্দ্র। মন্ত্রী বলেন, এই অবস্থায় আমরা যদি নতুন সিদ্ধান্ত নিই, তবে ছাড়ের বিষয়টিও ভেবে দেখা হবে।
[আরও পড়ুন: দিল্লি এইমসে হামলা চিনা হ্যাকারদের, বড় ক্ষতি সামলে উদ্ধার মূল্যবান নথি]
প্রসঙ্গত, কোভিডকালের আগে পুরুষ প্রবীণ নাগরিকদের রেলযাত্রায় ৪০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হত। সব ক্লাসেই এই ছাড় দেওয়া হত। মহিলাদের ক্ষেত্রে এই ছাড়ের পরিমাণ ছিল ৫০ শতাংশ। আগে পুরুষদের ক্ষেত্রে ছাড় পেতে ন্যূনতম বয়স ৬০ বছর হতে হত, নারীদের জন্য ছাড় প্রযোজ্য ছিল ৫৮ বছর বয়স থেকে। তবে বর্তমানে সবাইকেই পুরো ভাড়া দিয়েই রেলযাত্রা করতে হচ্ছে।