সুব্রত বিশ্বাস: রেলের জিএম থেকে ডিআরএম প্রত্যকেই দায়িত্বজ্ঞানহীন। যাত্রী পরিষেবা বালাই যাক, তা দেখার প্রয়োজনই বোধ করে না তাঁরা। এক বছর আগে যাত্রী পরিষেবা সম্পর্কিত এক নির্দেশ দিয়েছিলেন রেলবোর্ডের চেয়ারম্যান অশ্বিনী লোহানি। পরিষেবা সম্পর্কিত রিপোর্ট চেয়ারম্যানকে দেওয়ার কথাও ছিল। কিন্তু এক বছর অতিক্রমের পরও চেয়ারম্যানের কাছে কোনও রিপোর্ট দাখিল না হওয়ায় ক্ষুব্ধ চেয়ারম্যান। কাজের কেন এই হাল, তা জানতে চেয়ে রেলের সব জোনের প্রিন্সিপাল চিফ কমার্শিয়াল ম্যানেজারদের কাছে চিঠিও দেওয়া হয়েছে।
[ বিনা টিকিটে যাত্রা খোদ রেলের পদস্থ কর্তার, রাজধানী এক্সপ্রেসে শোরগোল]
রেলের পরিষেবার ক্ষয়িষ্ণু চিত্র বারবার উঠে আসে। খাবারের মান, অপরিচ্ছন্নতা-সহ একাধিক বিষয় বড় হয়ে উঠে এসেছিল। গত বছর অক্টোবরে খোদ রেলবোর্ডের চেয়ারম্যান নির্দেশ দিয়েছিলেন, রেল পরিষেবার হালহকিকৎ খতিয়ে দেখতে ট্রেনে যাত্রা করবেন জিএম ও ডিআরএম-সহ পদস্থ কর্তারা। এমনকী, ভ্রমণের সময়েও পরিষেবার মান খতিয়ে দেখবেন। পরিষেবার মান সম্পর্কিত রিপোর্ট চিফ কমার্শিয়াল ম্যানেজারদের কাছে জমা দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল। এক বছর অতিক্রম হলেও কোনও জোন থেকে কোনওরকম রিপোর্ট দাখিল হয়নি। রেলের একেবারে প্রথম শ্রেণির কর্তাদের এই দায়িত্বজ্ঞানহীনতায় ক্ষুব্ধ রেলবোর্ডের চেয়ারম্যান। জিএম ও ডিআরএমদের দেওয়া রিপোর্ট যেহেতু সিসিএমদের কাছে জমা দেওয়ার কথা ছিল, তারপর সেই রিপোর্ট দাখিল করার কথা ছিল চেয়ারম্যানের কাছে। তাই এবার সিসিএমদের কাছেই জানতে চাওয়া হয়েছে, এক বছরে কেন এল না একটিও রিপোর্ট।
খোদ রেলবোর্ডের নির্দেশ এভাবে অমান্য করায় স্পষ্ট হয়ে উঠল রেলের উপরতলার কর্মীদের উদাসীনতার চিত্র। এক শ্রেণির বোর্ড কর্তার কথায়, পরিষেবা সরাসরি খতিয়ে দেখার জন্য জিএম ও ডিআরএমদের মাঠে নামার নির্দেশ দিয়েছিলেন চেয়ারম্যান। কিন্তু এক বছরের মধ্যেই একদিনেরও রিপোর্ট কেউ না দেওয়ায় পরিষেবার বিষয়ে রেল কতটা উদাসীন তা স্পষ্ট হল।
[ মোদির স্বপ্নের বুলেট ট্রেন ছোটাতে জমিদাতাদের বিশেষ অফার রেলের]
The post রেলবোর্ডের চেয়ারম্যানের নির্দেশই সার, পরিষেবার মান নিয়ে উদাসীন শীর্ষকর্তারা appeared first on Sangbad Pratidin.