shono
Advertisement

ট্রেন বিভ্রাটে লাইনে হেঁটেই গন্তব্যে যাত্রীরা! দমদমে পোয়াবারো ‘তোলাবাজ’ রেল পুলিশের

যাত্রীদের একাংশের  অভিযোগ, দমদমে আসার মুখেই রেল পুলিশের খপ্পরে পড়তে হয় তাঁদের।
Posted: 09:27 PM Mar 22, 2024Updated: 09:36 PM Mar 22, 2024

সুব্রত বিশ্বাস: দমদম স্টেশনে প্রায়শয়ই হয় ইন্টারলকিংয়ের কাজ। ফলে ট্রেন বিভ্রাট এবং যাত্রী ভোগান্তি। প্রায়  নিত্যদিনের এই সমস্যার ছবি দেখা গেল শুক্রবারও। বিশেষ করে বনগাঁ ও হাসনাবাদ শাখার ট্রেনগুলো দমদমে আসার আগে দাঁড়িয়ে পড়ে। ফলে সময় বাঁচাতে যাত্রীদের অনেকেই লাইনে হেঁটে গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা দেন। অভিযোগ, এহেন যাত্রীদের থেকে ফাইন আদায়ের নামে রীতিমতো তোলাবাজি করছে রেল পুলিশ।   

Advertisement

জানা গিয়েছে, শুক্রবার প্রায় আধ ঘণ্টা থেকে এক ঘণ্টা ট্রেনগুলো দাঁড়িয়ে ছিল। বিরক্তিতে যাত্রীদের বেশিরভাগই ট্রেন থেকে নেমে পড়েন। লাইন ধরেই তাঁরা হেঁটে আসেন দমদমে। যাত্রীদের একাংশের  অভিযোগ, দমদমে আসার মুখেই রেল পুলিশের খপ্পরে পড়তে হয় তাঁদের। দিতে হয়েছে জরিমানা। অনেককেই হয়রানির মুখে পড়তে হয়। দমদম ১ নম্বর প্ল‌্যাটফর্মের সুলভ শৌচালয়ের পাশে গ্রীল ঘেরা বাগান রয়েছে। সেখানেই তাদের ধরে আনা হয়। চলে টাকা আদায়ের পালা। 

[আরও পড়ুন: কেশপুরে দেবের রোড শো শুরুর আগেই হাতাহাতি, কীভাবে সামলালেন তারকা প্রার্থী?]

রেল পুলিশের এই কাজে প্রবল ক্ষুব্ধ যাত্রীরা। তাঁরা অভিযোগ জানিয়ে বলেন, “কতক্ষণ ট্রেনে আটকে থাকব? লাইন ধরে কষ্ট করে দমদমে আসার পরও স্বস্তি মিলছে না। উপরন্তু খাঁড়ার ঘা পড়ছে।” রেল পুলিশের ওসি সঞ্জয় চক্রবর্তী টাকা আদায়ের কথা উড়িয়ে দিয়ে বলেন, ইন্টারলকিংয়ের কাজের জন‌্য দুরপাল্লা-সহ অন‌্য ট্রেনগুলো দমদমের আগে দাঁড়িয়ে পড়ে। যাত্রীরা হুড়মুড়িয়ে নেমে পড়েন লাইনে। এই অবস্থায় দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। স্টেশন কর্তৃপক্ষ তাদের কাছে আবেদন জানানোর পরই এই ধরনের পদক্ষেপ করা হয়েছে। তবে জরিমানা নিয়ে মহুরিরা জামিনে মুক্তি দেন ইচ্ছুকদের। অন‌্যদের কোর্টে পাঠানো হয়। তবে টাকা আদায়ের কোনও অভিযোগ নেই।    

[আরও পড়ুন: সাতসকালে দেবাংশুর তমলুকের বাড়িতে ‘অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়’, খবর বনদপ্তরে]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement