সুব্রত বিশ্বাস: রাজ্যের আবেদন পেয়েও রেল বোর্ড লোকাল ট্রেন চালানোর বিষয়ে কোনও ইতিবাচক পদক্ষেপ করেনি শনিবার। ফলে পয়লা সেপ্টেম্বর থেকে হাওড়া, শিয়ালদহে লোকাল ট্রেন চলাচল এখনও অনিশ্চিত। কলকাতা মেট্রো চলাচলের ছাড় দিলে লোকাল ট্রেনও চলবে। তবে এই বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নির্দেশ না আসা পর্যন্ত কোনও পদক্ষেপ হবে না। এমনটাই জানিয়েছে রেল। শিয়ালদহের ডিআরএম এসপি সিং বলেন, রাজ্যের পক্ষে দু'টি আবেদন এক সঙ্গে করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে মেট্রো ছাড় পেলে লোকাল ট্রেনকেও ছাড় দেওয়া হবে। লোকাল কম সংখ্যক চললেও অনিয়ন্ত্রিত ভিড় হবে বলে তিনি আশঙ্কা করছেন। ডিআরএমের কথায়, মেট্রো পুরোপুরি ঘেরাটোপের মধ্যে হওয়ায় যাত্রী নিয়ন্ত্রণ সম্ভব। যা অসম্ভব লোকাল ট্রেনের ক্ষেত্রে।
[আরও পড়ুন: করোনা পরিস্থিতিতে বকেয়া GST দিতে রাজি, রাজ্যগুলিকে চিঠি দিয়ে জানাল কেন্দ্র]
নির্দেশ পাওয়া মাত্র ট্রেন চালাতে কোনও অসুবিধা হবে না রেলের। হাওড়া, শিয়ালদহের দুই ডিআরএম জানিয়েছেন, রেল প্রস্তুত রয়েছে। রেলকর্মীদের যাতায়াতের জন্য লোকাল ট্রেন চলছে। সংখ্যাটা একটু বাড়ালেই নির্ধারিত লোকজন চড়তে পারবেন। বুকিং কাউন্টারগুলোর ধুলো জমে যাওয়া মেশিনগুলো শুক্রবার থেকে সক্রিয় রাখার কাজ শুরু হয়েছে। হাওড়া, শিয়ালদহে লোকাল ট্রেনগুলি স্যানিটাইজ করাও শুরু হয়েছে। বাদবাকি যা প্রস্তুতি নেওয়ার তা আগেই নেওয়া হয়েছে। তবে সামাজিক দূরত্ব নিয়ে চিন্তিত রেল। ডিআরএম সিং বলেন, টিকিট কেটে যাত্রীরা ট্রেনে উঠলে রেল কাকে আটকাবে। যেহেতু শহরতলির সব স্টেশন একেবারে খোলামেলা। যাত্রীরা কোথায় উঠবেন, কোথায় নামবেন তা সামলানো রেলের পক্ষে অসুবিধার। ফলে সংক্রমণের হার বাড়ার আশঙ্কা করছেন যাত্রীদের একাংশ। মুম্বইতে ১৫ জুন থেকে রেল কর্মীদের জন্য লোকাল ট্রেন চালু হয়। মহারাষ্ট্র সরকারের আবেদনে ট্রেনগুলিতে রাজ্যের জরুরি বিভাগের কর্মীদের চড়ার জন্য ছাড়পত্র দেওয়া হয়। পয়লা সেপ্টেম্বর থেকে সেখানে লোকালের সংখ্যা বাড়ানো পরিকল্পনার কথা উঠতেই আপত্তি জানিয়েছে যাত্রী পরিষদ। সভাপতি সুভাষ হরিষচন্দ্র গুপ্ত বলেন, রেলকর্মীদের জন্য লোকাল ট্রেন চালানোর পর করোনা সংক্রমণ বেড়েছে আশাতীতভাবে। ট্রেন ও যাত্রী আরও বাড়ালে তা ভয়াবহ রূপ নেবে। তাই রাজ্য সরকারের কাছেও আবেদন যাতে এই পরিস্থিতি ট্রেন সকলের জন্য না খুলে দেওয়া হয়।
আগস্টের ৩১ ও সেপ্টেম্বরে ৭, ১১ ও ১২ রাজ্যে ঘোষিত লকডাউন। তাই মাসের মাঝামাঝি থেকে স্থায়ী ভাবে লোকাল চালনা হতে পারে বলে মনে করেছে নানা মহল। যদিও ডিআরএম শিয়ালদহ এসপি সিং লকডাউনকে প্রতিবন্ধক মনে করছেন না। তাঁর কথায়, ট্রেন চলতেই পারে। লকডাউনে বন্ধ থাকবে। তবে যাত্রীদের জন্য লোকাল ট্রেন চালাতে উদগ্রীব রেল। ডিআরএম সিং বলেন, কেন্দ্র স্বরাষ্ট্র দফতর নির্দেশ এলে ট্রেন চালু হবে। ট্রায়াল ভিত্তিতে চালিয়ে পরিস্থিতি অনুধাবন করাই যেতে পারে। তাতে অসুবিধা কোথায়।