সুব্রত বিশ্বাস: ছট পুজোয় গঙ্গাস্নান ও দণ্ডি কাটার ভিড় সকলেরই চেনা। তাই করোনা কালে সেই জমায়েত এড়াতে শুক্রবার সকাল ন’টা থেকে শনিবার বিকেল পর্যন্ত চক্র রেল নিয়ন্ত্রণে রাখার সিদ্ধান্ত নিল পূর্ব রেল। প্রথম দিন তিনটি শিয়ালদহ-বিবাদী বাগ লোকাল ও দুটি বারুইপুর-বিবাদী বাগ লোকাল বাতিল করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, এদিন নৈহাটি, বনগাঁ, মাঝেরহাট লোকাল কলকাতায় এসে নিয়ন্ত্রণ হবে। উত্তর-দক্ষিণের সংযোগকারী নৈহাটি-বালিগঞ্জ, নৈহাটি-মাঝেরহাট, কল্যাণী সীমান্ত-মাঝেরহাট কাঁকুড়গাছি দিয়ে ঘুরিয়ে দেওয়া হবে। এছাড়া দুটি মাঝেরহাট-নৈহাটি ও বালিগঞ্জ-বারাকপুর শিয়ালদহ থেকে ছাড়বে। পরের দিন একজোড়া শিয়ালদহ-বিবাদীবাগ লোকাল বাতিল করা হয়েছে। বনগাঁ-মাঝেরহাট লোকাল চলবে কলকাতা থেকে। এছাড়া বেশ কয়েকটি ট্রেনকে ঘুরপথে চালানো হবে। অন্যদিকে, ক্রমান্বয়ে ট্রেন বাড়লেও যাত্রী সংখ্যা বাড়ছে না। ফলে উদ্বেগ বাড়ছে রেলের। এবিষয়ে শিয়ালদহের ডিআরএম এসপি সিং বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে ভয়ে খুব প্রয়োজন ছাড়া মানুষ বেরচ্ছেন না। মঙ্গলবার ওই ডিভিশনে টিকিট বিক্রি হয়েছিল তিন লক্ষ একত্রিশ হাজার। মান্থলি ১৩,৫০০। হাওড়া ডিভিশনে একই দিনে টিকিট বিক্রি হয়েছে ২ লক্ষ সাতাশ হাজার। মান্থলি সাড়ে চার হাজার হলেও নতুন হয়েছে তার মধ্যে আড়াই হাজার। বুধবার একই রকম যাত্রী হয়েছে বলে জানান হাওড়ার ডিআরএম ইশাক খান।
[আরও পড়ুন: চলন্ত ট্রেনের দুই কোচের মাঝে পড়ে মৃত্যুর মুখে মহিলা! প্রাণ বাঁচালেন আরপিএফ কনস্টেবল]
এদিকে ট্রেন চললেও হকাররা স্টেশনে প্রবেশের অনুমতি না পাওয়ায় ক্ষোভ বাড়ছে তাঁদের। যে কারণে বুধবার শিয়ালদহ স্টেশনে বিক্ষোভ দেখান কয়েকশো হকার। তাঁদের দাবি, দীর্ঘদিন পর ট্রেন চললেও তাদের স্টেশনে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। অবিলম্বে এই সিদ্ধান্ত বদল করতে হবে। বহু পরিবার দুঃসহ যন্ত্রণার মধ্যে রয়েছেন। এদিন নিজেদের দাবি জানিয়ে স্টেশন ম্যানেজারের কাছে স্মারকলিপিও দেন তাঁরা।