কলহার মুখোপাধ্যায়: নিম্নচাপের প্রভাবে এক নাগাড়ে বৃষ্টি হয়ে চলেছে বাংলায়। শহরের পাশাপাশি বিমানবন্দরের আশেপাশের একাধিক জায়গাতেও জল জমেছে। একাধিক উড়ানে দেরি হয়েছে। তবে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কোনও উড়ান বাতিল হয়নি।
সোমবার ওড়িশা (Odissa) উপকূলে তৈরি হওয়া নিম্নচাপ আরও গভীর হয়ে স্থলভাগে প্রবেশ করে। তার জেরে সপ্তাহের প্রথম দিন থেকে বঙ্গে শুরু হয় ঝোড়ো হাওয়া ও ভারী বৃষ্টি। একটানা বৃষ্টিতে রানওয়ের বেশ কিছু জায়গাতে জল জমেছে। তবে পাম্প তৈরি রেখেছেন বিমানবন্দরের কর্মীরা। অল্প সময়ের মধ্যেই পাম্পের মাধ্যমে জল বের করে দেওয়া হচ্ছে। ফলে এখনও পর্যন্ত কোনও বিমানের উড়ান বাতিলের খবর নেই। তবে অনেক বিমান দেরিতে উড়ছে। কারণ সুরক্ষার দিকটি নিশ্চিত করেই বিমান ওড়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
[আরও পড়ুন: রেললাইনে ট্রলির সঙ্গে ধাক্কা, বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেল হাওড়া-সেকেন্দ্রবাদ এক্সপ্রেস]
এদিকে বিমানবন্দরে যাওয়ার রাস্তার হাল বেহাল। বিশেষ করে যশোর রোডের দিকটি। এদিন সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত যশোর রোডে যানজট ছিল। বিশেষ করে আড়াই নম্বরের কাছে। যে জায়গা থেকে ছোট গাড়িগুলিকে বিমানবন্দরের দিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। যানজটের ফলে অনেকের বিমানবন্দরে পৌঁছতে দেরি হয়েছে বলে শোনা গিয়েছে।
সোম ও মঙ্গলবার দফায় দফায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হতে পারে। সঙ্গে ৩০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া। এমনটাই জানানো হয়েছিল হাওয়া অফিসের পক্ষ থেকে। পশ্চিমের জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। এদিন সকালে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৬ ডিগ্রি। সোমবার বিকেলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৯.৭ ডিগ্রি। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ৯৪ শতাংশ। গত ২৪ ঘন্টায় ৮.৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। ইতিমধ্যেই মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে মাছ ধরতে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। বুধবার থেকে পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে বলে শোনা গিয়েছে।