সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হলদে নরম আলোয় ভরা আকাশ, তারই মাঝে সাতরঙা ‘রামধনু’! নাসার মঙ্গলযান পারসিভিয়ারেন্স (Perseverance) লালগ্রহের আকাশের এমনই ছবি পাঠিয়েছে। আর নাসার তরফে সেই ছবি টুইট করতেই শোরগোল, বিতর্ক। আপাতত মহাকাশবিজ্ঞানীদের আলোচনার কেন্দ্রে মঙ্গলাকাশের এই অপূর্ব ছবিই। যদিও প্রতিবেশী গ্রহে আবহাওয়ায় ‘রামধনু’ তৈরি কতটা সম্ভব, তা নিয়ে স্পষ্ট যুক্তি দিয়ে জানিয়েছে নাসা (NASA)। তবে যুক্তির বাইরে কল্পনার জগৎ তো আরও ব্যপ্ত। তাই ভিন গ্রহের আকাশেও পৃথিবীর মতো রঙের খেলা দেখার কল্পনা বুঁদ অনেকে।
ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে মঙ্গলপৃষ্ঠে (Mars)অবতরণ করেছে নাসার ‘পারসিভিয়ারেন্স’ রোভারটি। তারপর লাল গ্রহে ঘুরে বেড়িয়ে নানা তথ্য পাঠাচ্ছে নাসার কন্ট্রোল রুমে। দিন দুই আগে সে মঙ্গলের হলদে আকাশে রঙের রেখার একটা ছবি পাঠিয়েছে। আর নাসা তা টুইট করতে নিমেষে তা ভাইরাল, হয়ে উঠেছে আকর্ষণ, আলোচনা কেন্দ্র। ছবিটা একঝলক দেখে অনেকেরই মনে হয়েছে, মঙ্গলের আকাশে ওটা বুঝি রামধনু। কিন্তু ছবিটি ভালভাবে বিশ্লেষণ করে গবেষণার পর বিজ্ঞানী মহলের একাংশ বলছেন, ‘রামধনু’ হওয়া সম্ভব নয় মঙ্গলের আকাশে।
[আরও পড়ুন: ইউরেনাস থেকে ঠিকরে বেরচ্ছে এক্স-রে! কারণ নিয়ে সংশয়ে গবেষকরা]
বিজ্ঞান বলছে, আকাশে ভাসমান জলকণার উপর সূর্যের আলো পড়লে তবেই রামধনু দৃশ্যমান হয়। কিন্তু মঙ্গলের আবহাওয়ায় জলকণা এতটা ঘনীভূত হওয়ার কোনও পরিবেশ নেই। তাই রামধনু তৈরি হওয়াও সম্ভব না। তাহলে অবিকল ওই দৃশ্য কীভাবে দেখাল নাসার রোভারটি? পারসিভিয়ারেন্সের ব্যাখ্যা, রোভারটিতে উচ্চপ্রযুক্তিসম্পন্ন ক্যামেরা রয়েছে। যার লেন্সের প্রভাবে এই বর্ণচ্ছটা তৈরি হয়েছে। লালগ্রহের মাটি থেকে সূর্যরশ্মিকে লেন্সের সাহায্যে ক্যামেরাবন্দি করা হয়েছে, তাতেই এই রামধনু ‘এফেক্ট’। যদিও তারপরও কেউ কেউ মানতে নারাজ যে নাসার ওই ছবিটি শুধুই পারসিভিয়ারেন্সের ক্যামেরার কারসাজি! মঙ্গলের আকাশে সত্যিই রামধনু তৈরি হয়নি। আসলে, কল্পনার চোখে মানুষ বহির্জগতের যে কোনও কিছুর সঙ্গেই পৃথিবীর মিল খুঁজে পেতেই তো আগ্রহী হন।