রমেন দাস: রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানি ইস্যুতে আরও একদফা বিতর্ক বাড়ল। রাজভবন থেকে প্রকাশিত সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ক্ষুব্ধ অভিযোগকারী মহিলা কর্মী। তাঁর অনুমতি না দিয়ে মুখ দেখানোয় রীতিমতো হতাশ। কুরুচিকর কাজ করে নিজের দোষ ঢাকতে নাটক মঞ্চস্থ করছেন রাজ্যপাল, এমনই বলছেন ক্ষুব্ধ অভিযোগকারিণী। তাঁর দাবি, সিসিটিভির প্রযুক্তির দিকটি তিনি জানেন না। কিন্তু মুখ কেন দেখানো হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। রাজভবনের ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি 'সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল'।
বৃহস্পতিবার দুপুর নাগাদ রাজভবনের (Raj Bhavan) তরফে ওই ঘটনার ১ মিনিট ৯ সেকেন্ডের ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে। তাঁর কথামতো 'সাচ কা সামনা'য় আবেদনের ভিত্তিতেই ওই ফুটেজ বাইরে দেখানো হয়েছে। সেই ভিডিওয় রাজভবনের অন্দর নয়, তিন ধাপে নর্থ গেটের সামনের সিসিটিভি (CCTV) ফুটেজ প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে কোথাও দেখা যায়নি রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে (CV Ananda Bose)। এর পরই ভিডিওটি নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন অভিযোগকারী মহিলা কর্মী। যদিও ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি 'সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল'।
[আরও পড়ুন: অভিযোগকারীরা বিজেপির মুখোশ খুলে দিচ্ছে! সন্দেশখালি কাণ্ডে এবার তৃণমূলের পাশে কংগ্রেস]
'সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল'কে তিনি জানিয়েছেন, ''আমি সিসিটিভি ফুটেজের প্রযুক্তিগত দিক সম্পর্কে অবগত নই। কিন্তু আমি কাঁদতে কাঁদতে পুলিশ আউট পোস্টের দিকে যাচ্ছি, এটা দেখা যাচ্ছে। আমার ব্যাগ কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। বলা হয়েছিল, রাজভবনের গাড়িতে বাড়ি যেতে। যাওয়ার পথে আমাকে বোঝানোর কথাও বলা হয়। এই হাস্যকর নাটক না করে উনি পুলিশকে তদন্তের অনুমতি দেওয়ার সাহস দেখাতে পারতেন! ওঁর কর্মচারীদের সত্যি কথা বলার জন্য অনুমতি দিতে পারতেন। কিন্তু ওই দানবের মনে এখন 'চিত্ত আমার ভয়পূর্ণ, বিকৃত মম শির!' এর পরেও কেউ কিছু করতে পারবে না। কারণ, আমি সাধারণ মানুষ, উনি রাজ্যপাল।''
[আরও পড়ুন: অধীরের অভিযোগের পরই বহরমপুরের IC-কে সরাল কমিশন]
এনিয়ে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের প্রতিক্রিয়া, ''অভিযোগকারিণী সেই সময়ে যেখানে ছিলেন, ঘটনার মুহূর্ত এবং যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ তাঁর সেই সময়ের ফুটেজ দেখানো উচিত। এই ফুটেজে কী বোঝাতে চাইছেন বুঝলাম না। রাজ্যপালের উচিত তদন্তে সহযোগিতা করা।'' বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্যর প্রতিক্রিয়া, ''রাজ্যপাল নিশ্চয়ই তাঁর দায়বদ্ধতা থেকে পদক্ষেপ নেবেন।''
দেখুন ভিডিও: