সুদীপ রায়চৌধুরী: শ্লীলতাহানি বিতর্কের ১ ঘণ্টা ৯ মিনিটের ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ্যে আনল রাজভবন। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ তুলে অস্থায়ী মহিলা কর্মী যেদিনের কথা উল্লেখ করেছেন, সেইদিনেরই ফুটেজ প্রকাশিত হয়েছে। ঠিক কী ঘটেছিল? ঘটনার দিন বিকেল ৫টা ৩২ মিনিট থেকে ৬টা ৪১ মিনিটে পর্যন্ত প্রকাশিত সিসিটিভি ফুটেজে তা দেখা গিয়েছে। তবে সেই ফুটেজে দেখা যায়নি রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে।
ঠিক কী রয়েছে রাজভবনের (Raj Bhavan) প্রকাশ করা ১ ঘণ্টা ৯ মিনিটের সিসিটিভি ফুটেজে? রাজভবনের নর্থ গেটের সামনের দুটি ক্যামেরার ছবি দেখানো হয়েছে। প্রথম ধাপে বিকেল ৫টা ৩২ মিনিট থেকে ৫টা ৪২ - এই ১০ মিনিটের ফুটেজ প্রকাশ্যে এসেছে। এই ফুটেজে (CCTV Footage) অভিযোগকারী মহিলাকে রাজভবনের মূল গেট থেকে তড়িঘড়ি বেরিয়ে ওসির ঘরের সামনে যেতে দেখা যায়। দ্বিতীয় ফুটেজ অর্থাৎ বিকেল ৫টা ৪০ থেকে নাগাদ তাঁকে দেখা যায় কয়েকজন পুলিশকে নিয়ে আউটপোস্ট থেকে বেরিয়ে পাশের ঘরে যাচ্ছেন। পরবর্তী ফুটেজে পাশের ঘর থেকে আর বেরতে দেখা যায়নি। এই ফুটেজটি শেষ হয় ৬টা ৪১ মিনিটে।
[আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির দ্বারস্থ হওয়া সন্দেশখালির নির্যাতিতারা ভুয়ো? রেখা পাত্রর নয়া ভিডিও ঘিরে শোরগোল]
তবে মোট ১ ঘণ্টা ৯ মিনিটের ফুটেজে কোথাও রাজ্যপালকে দেখা যায়নি। যদিও ওই মহিলা কর্মীর অভিযোগ ছিল, রাজভবনের কনফারেন্স রুমে তাঁর শ্লীলতাহানি (Molestation) হয়েছিল। কিন্তু রাজভবনের ভিতরের কোনও ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ্যে আনা হয়নি। বুধবারই রাজভবনের তরফে জানানো হয়েছিল, আবেদনের ভিত্তিতে ১০০ জন দেখতে পাবেন সেই ফুটেজ, যার নাম দেওয়া হয় 'সাচ কে সামনে'। সেইমতো বৃহস্পতিবার দুপুরে ফুটেজ প্রকাশ করা হল রাজভবনের তরফে।
[আরও পড়ুন: অভিযোগকারীরা বিজেপির মুখোশ খুলে দিচ্ছে! সন্দেশখালি কাণ্ডে এবার তৃণমূলের পাশে কংগ্রেস]
এনিয়ে স্বাস্থ্যভবনে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য (Chandrima Bhattacharya) প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বলেন, ''রাজ্যপাল বলেছিলেন, ১০০ জনকে সিসিটিভি ফুটেজ দেখাবেন। সেই ১০০জন কারা? দেখা গেল, রাজভবনের বাইরে কিছু পুলিশ ঘুরে বেড়াচ্ছে। একজন মহিলা যাচ্ছেন। যদি ওই মহিলাই হয়ে থাকেন, তবে তাঁর মুখটা ব্লার করে দেওয়া উচিত ছিল। দ্বিতীয়ত রাজ্যপাল বলেছিলেন, সত্য সামনে আসবে। তাহলে সেই সময়ের ঘটনা দেখাতে পারতেন। আর ওই মহিলা তো পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছিলেন। যে ১০০ জন ফুটেজ দেখলেন, তাঁরা কারা? প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ করে সবাই তো ওঁর বশংবদ। এমন ফুটেজে কী প্রমাণ হবে?''