স্টাফ রিপোর্টার: চার বিধায়কের শপথ নিয়ে ফের জটিলতার ইঙ্গিত রাজভবনের তরফে। নতুন বিধায়কদের শপথ নিয়ে রীতিমাফিক অনুমতি চেয়ে রাজভবনে চিঠি পাঠিয়েছিল বিধানসভার সচিবালয়। তার দুদিনের মাথায় বৃহস্পতিবার পালটা চিঠি দিয়ে একাধিক প্রশ্ন তুলল রাজভবন। তাতেই আগেরবারের শপথ পর্বের রেশ।
রাজভবন সূত্রে জানা যাচ্ছে, নতুন চার বিধায়কের শপথের চিঠি পেয়েই সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় আর রেয়াত হোসেন সরকারের শপথের প্রসঙ্গ টেনে রাজ্যপাল জানতে চেয়েছেন, ওই দুজনের শপথ পড়ানোর দায়িত্ব তিনি উপাধ্যক্ষকে দিয়েছিলেন। সেই দায়িত্ব কি পালন হয়েছে? তার সঙ্গেই রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের প্রশ্ন, সংবাদমাধ্যম থেকে তিনি জানতে পেরেছেন যে, ওই দুই বিধায়কের শপথ পড়িয়েছেন অধ্যক্ষ। তা কি সত্যি? সেক্ষেত্রে উপাধ্যক্ষকে দায়িত্ব দেওয়ার পরও কীভাবে অধ্যক্ষ তাঁদের শপথ পড়ালেন? ওই দুই বিধায়কের শপথ পড়ানোর ক্ষেত্রে রাজ্যপাল যাঁকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন, তা যখন পালন হল না, তাহলে নতুন করে চার বিধায়কের শপথের জন্যই বা তাঁর কাছে অনুমতি চাওয়া হচ্ছে কেন?
[আরও পড়ুন: কুলতলির সাদ্দাম ‘সমাজসেবী’, আদালতে জোর সওয়াল ‘টানেল ম্যানে’র আইনজীবীর]
তবে রাজভবনের তরফে কোনও পদক্ষেপ করা হয়েছে কি না, তা নিয়ে এদিন কিছু মন্তব্য করতে চাননি অধ্যক্ষ। তবে তাঁর সচিবালয় জানাচ্ছে, ‘ইতিবাচক’ কোনও জবাব রাজভবনের তরফে আসেনি। পরিষদীয় দপ্তর সূত্রে খবর, শপথ নিয়ে আর কোনও জটিলতাকেই প্রশ্রয় দেওয়া হবে না। বিধানসভার চিঠির জবাবে রাজভবনের পালটা চিঠি দেওয়া বা আবার তার জবাবের পর্বে যাওয়া না-ও হতে পারে। সেক্ষেত্রে আইনি সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে বিধানসভায় পরিষদীয় রীতি মেনে চার নতুন বিধায়ক সুপ্তি পাণ্ডে, মুকুটমণি অধিকারী, কৃষ্ণ কল্যাণী, মধুপর্ণা ঠাকুরদের শপথের প্রস্তুতি সেরে রাখছে বিধানসভা। তবে কী ধরনের পদক্ষেপ করা হচ্ছে তা নিয়ে এখনই প্রকাশ্যে কিছু বলতে নারাজ সচিবালয়। সূত্রে খবর, যেহেতু অধিবেশন ২২ জুলাই থেকে শুরু হয়ে যাচ্ছে, তার জন্য আলাদা করে শপথের জন্য আর রাজভবনের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকার প্রয়োজন পড়বে না। অধিবেশন চলাকালীন শপথ পড়িয়ে নিতে পারবেন অধ্যক্ষ নিজেই।