অর্ণব দাস, বারাকপুর: ট্রেলার মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই বিতর্কে 'দ্য ডায়েরি অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল'। ছবিটি নিয়ে এবার মুখ খুললেন পরিচালক-বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী। বললেন, "ট্রেলার দেখেই বোঝা যাচ্ছে 'দ্য ডায়েরি অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল' সিনেমাটি কুৎসিত একটা কাজ। ধর্মের নামে বিভাজনের চেষ্টা ও রাজনৈতিক প্রচারমূলক একটি সিনেমা।"
বারাকপুর পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর জয়দীপ দাসের উদ্যোগে রবিবার কর্মমেলার আয়োজন করা হয়েছিল। নিজেদের সংস্থায় চাকরি দিতে সেখানে উপস্থিত ছিলেন ৫৪টি বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিরা। বিগত দুবছরের উপস্থিতি ছাপিয়ে এদিন হাজির ছিলেন কমবেশি ১ হাজার ৫০০ জন চাকরিপ্রার্থীরা। সেখানেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে স্থানীয় বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী বলেন, "দ্য ডায়েরি অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল' সিনেমার ট্রেলার আমি দেখেছি। একজন পরিচালক হিসেবে বলব একদম কাঁচা, কুৎসিত একটা কাজ। দেখেই বোঝা যাচ্ছে ধর্মের নামে বিভাজনের চেষ্টা হচ্ছে। এটা বাংলার সংস্কৃতি, কৃষ্টির উপর আঘাত। বাংলাকে কলঙ্কিত করার জন্য রাজনৈতিক প্রচারমূলক একটি সিনেমা। বাংলার মানুষ এটাকে সফল হতে দেবে না।"
[আরও পড়ুন: ফরাসি বিপ্লব ও বাস্তিল দুর্গের পতন স্মরণ! সোশাল মিডিয়ায় ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট সুখেন্দুশেখরের]
রাজ চক্রবর্তী ছাড়াও কর্মমেলায় উপস্থিত ছিলেন উপস্থিত ছিলেন বারাকপুরের সাংসদ পার্থ ভৌমিক, বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম, সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, মঞ্জু বসু, পুরসভার চেয়ারম্যান উত্তম দাস সহ অন্যান্যরা। কাউন্সিলরের এহেন উদ্যোগের প্রশংসা করে পার্থ ভৌমিক বলেন, "অত্যন্ত প্রশংসনীয় একটি কাজ। কাউন্সিল জয়দীপ ধারাবাহিকভাবে এটি করছেন। প্রচুর বেকার যুবক-যুবতীর এখান থেকে কর্মসংস্থান হয়েছে।" কাউন্সিলর জয়দীপ দাস জানিয়েছেন, "বারাকপুরের পাশাপাশি বারাসত, নৈহাটি, খড়দহ, ভাটপাড়া, জগদ্দল কাঁচড়াপাড়া-সহ একাধিক জায়গার ছেলেমেয়ে এদিন সিভি নিয়ে ইন্টারভিউ দিতে এসেছিলেন। ইন্টারভিউয়ের পরপরই ১২০ জন অন স্পট চাকরি পেয়েছেন। এছাড়াও ৬০০ বেশি চাকরিপ্রার্থীর নাম তালিকা ভুক্ত হয়েছে।"