ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: নজর কেড়েছিলেন ২১ জুলাই, ধর্মতলায় তৃণমূলের শহিদ দিবসের মঞ্চে। সংক্ষিপ্ত অথচ দৃঢ়, সহজ অথচ আন্দোলনের ভাষায় বক্তব্য পেশ করে বুঝিয়েছিলেন, তিনি লম্বা রেসের ঘোড়া। বিশেষত দলের ছাত্র ও যুব সম্প্রদায়ের লডা়ইকে নেতৃত্ব দেওয়ার সহজাত ক্ষমতা রাখেন। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) স্নেহের পাত্রী হয়ে ওঠার পর রাজন্যা দলের অন্দরে বিরাগভাজন হয়েছেন। কিন্তু গুরুত্ব না দিয়ে নিজের কাজ করে গিয়েছেন। এরপর যাদবপুরের ছাত্রমৃত্যুর ঘটনা নিয়ে প্রতিবাদে নেমে রীতিমতো প্রহৃত হন। হাসপাতালে ভরতিও ছিলেন। তবে এসবেরই পুরস্কার মিলল। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে খানিকটা দুর্বল টিএমসিপি (TMCP) ইউনিটের সভানেত্রী হলেন রাজন্যা হালদার (Rajanya Haldar)। বামেদের দখলে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে রাজন্যাতেই ভরসা রাখল তৃণমূল। ভরসা রাখলেন দলনেত্রী।
সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার রাতে এ নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের নির্দেশে একটি বৈঠক হয়। দুই মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস ও ফিরহাদ হাকিমের নেতৃত্বে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, যাদবপুরে টিএমপিসি ইউনিটের নেত্রী হবেন রাজন্যা হালদার। এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে শীর্ষ নেতৃত্বকে। দু’জনের এই কমিটি যাদবপুর নিয়ে সরাসরি রিপোর্ট করবে দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে।
[আরও পড়ুন: ধূপগুড়ি উপনির্বাচন: মমতা, অভিষেক-সহ ৩৭ জন তারকা! ভোটে জিততে প্রচারে ঝাঁপাচ্ছে TMC]
বুধবার ছাত্রমৃত্যুর প্রতিবাদে যাদবপুর এইট বি বাসস্ট্যান্ডের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করে টিএমসিপি। কোন কোন ইস্যু তুলে সরব হবেন ছাত্ররা, তার দিকনির্দেশ দিয়েছিলেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তার মধ্যে অন্যতম ছিল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে টিএমসিপি-র ইউনিটটি দুর্বল, ছাত্রমৃত্যুকে সামনে রেখে লড়়াইয় আরও জোরদার করতে হবে। আগামী ছাত্র ভোটে যেন সংসদের দখল নিতে পারে শাসকদলের ছাত্র সংগঠন। আর সেই লক্ষ্যেই নতুন করে সংগঠন সাজাচ্ছেন রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য। আর সেই গুরুদায়িত্বই দেওয়া হল রাজন্য হালদারকে। নতুন দায়িত্ব পাওয়ার পর অবশ্য এখনও পর্যন্ত রাজন্যার কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।