সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একটার পর একটা হুমকি আর মামলা চলছে ‘পদ্মাবত’ নিয়ে। কিন্ত তবু ভেঙে পড়েননি ছবির পরিচালক সঞ্জয় লীলা বনশালি।কখনও মরু শহরে শুটিংয়ের মধ্যে চলেছে কর্নি সেনাদের ভাঙচুর, তো কখনো আবার সিনেমার কলাকুশলীদের দেওয়া হয়েছে প্রাণের হুমকি। কিন্ত সব বাধাবিপত্তি পেরিয়ে অবশেষে সর্বোচ্চ আদালতের সবুজ সংকেত নিয়ে আগামী ২৫ জানুয়ারি গোটা ভারতবর্ষে মুক্তি পেতে চলেছিল ‘পদ্মাবত’। তবে তার আগেও রয়েছে মামলা গেরো।
[রাজ্য জুড়ে বাণী বন্দনা, কেমন কাটছে তারকাদের সরস্বতী পুজো?]
ঝামেলা যেন ফুরিয়েও ফোরাচ্ছে না। ২১ জানুয়ারি রাজস্থানের চিতোরে ঘটছে আর এক ঘটনা। ‘পদ্মাবত’ নিয়ে সর্বোচ্চ আদালতের সবুজ সংকেত পাওয়ার পরও সেখানকার ‘সর্ব সমাজ’ নামক একদল নারীগোষ্ঠী জানিয়েছে যদি রাজস্থানে ‘পদ্মাবত’ মুক্তি পায় তবে তাঁরা সকলেই জহরব্রত পালন করে নিজেদের প্রাণ ত্যাগ করবেন। ‘পদ্মাবত’-এর মুক্তির প্রতিবাদে তাঁরা বিক্ষোভ মিছিলেরও আয়োজন করেছিলেন। যেখানে প্রায় কয়েকশো মহিলা হাতে তলোয়ার নিয়ে হেঁটেছেন।
এদিকে ২১ জানুয়ারী কর্ণি সেনার সমর্থনে রাজস্থানের এক যুবক হাতে পেট্রল ভরতি বোতল নিয়ে একটি মোবাইল টাওয়ারের উপর উঠে বসেছিল। তাঁর দাবি ছিল রাজস্থানে যতক্ষণ না ‘পদ্মাবত’-এর মুক্তি রোধ করা হবে ততক্ষণ সে ওই টাওয়ার থেকে নামবে না।
[‘প্যাডম্যান’ দেখতে মুখিয়ে আছেন কনিষ্ঠতম নোবেলজয়ী মালালা]
এই পরিস্থিতিতেই রাজস্থানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গুলাব চাঁদ কাটারিয়া বলেছিলেন “সর্বোচ্চ আদালত সবুজ সংকেত দিয়েছে ঠিকই, কিন্ত তবু আমরা আমাদের এখানে ‘পদ্মাবত’ আদৌ মুক্তি পাবে কিনা তা নিয়ে এখনও ভাবনাচিন্তা করছি।”
এর কয়েকঘন্টার মধ্যেই সর্বোচ্চ আদালতের কাছে রাজস্থান ও মধ্যপ্রদেশের পক্ষ থেকে ‘পদ্মাবত’-এর মুক্তি রোধে লিখিত আবেদন জমা পড়ে। এখন ওই দুই রাজ্যে আদৌ ‘পদ্মাবত’-এ দাঁড়ি পরবে কিনা তা ঠিক করবে দেশের সর্বোচ্চ আদালত। এদিকে কর্ণি সেনার হুমকির জেরে সেন্সর প্রধান প্রসূন যোশীর জন্য বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থাও করা হয়েছে।