সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজস্থানে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মিটিয়ে ফেলল কংগ্রেস (Congress)! আপাত দৃষ্টিতে অন্তত তেমনটাই মনে হচ্ছে। শচীন পাইলট (Sachin Pilot) এবং অশোক গেহলট বিবাদ মেটাতে রাজস্থানের গোটা মন্ত্রিসভাটাই পালটে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কংগ্রেস হাইকম্যান্ড। শীর্ষ নেতৃত্বের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শনিবার গোটা মন্ত্রিসভাটাই পদত্যাগ করেছে। কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়েছে, আজ রবিবার বিকেলে রাজস্থানের মন্ত্রী হিসাবে শপথ নেবেন মোট ১৫ জন বিধায়ক। এই নতুন মন্ত্রিসভায় দুই শিবিরেরই দাবি মোটামুটি পূরণ হয়েছে বলে সূত্রের দাবি।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট যে ১৫ জনকে মন্ত্রী হিসাবে বেছে নিয়েছেন এঁদের মধ্যে ৫ জন প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী শচীন পাইলটের ঘনিষ্ঠ। ১৫ জন মন্ত্রীর মধ্যে পূর্ণমন্ত্রী ১১ জন। এর মধ্যে তিনজন পাইলট শিবিরের নেতা। ৪ জন প্রতিমন্ত্রীর মধ্যে ২ জন পাইলট শিবিরের। নতুন মন্ত্রিসভার বিন্যাসে খুশি পাইলট। তিনি বলছেন, নতুন মন্ত্রিসভার এই বিন্যাসে রাজস্থান সরকার মজবুত হল। আগামী দিনে কংগ্রেস এবং সরকার সবার ভাল হবে। পাইলটের মুখে এদিন রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধীরও স্তুতি শোনা গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: বুধবারই কৃষি আইন প্রত্যাহারের প্রস্তাবে ছাড়পত্র দিতে পারে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা! দাবি সূত্রের]
অশোক গেহলটের নতুন মন্ত্রিসভায় জাতপাতের সমীকরণও মিলিয়ে চলার চেষ্টা করা হয়েছে। ১৫ জনের মন্ত্রিসভায় ৪ জন সদস্য দলিত সম্প্রদায়ের। ১ জন আদিবাসীদের প্রতিনিধিও রয়েছেন। তবে, সবাইকে খুশি করতে পারলেও বিএসপি থেকে কংগ্রেসে আসা সব বিধায়ককে খুশি করতে পারেননি মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। মন্ত্রীপদ না পেয়ে বিএসপি (BSP) থেকে কংগ্রেসে যোগ দেওয়া এক বিধায়ক সরাসরিই দলকে খোঁচা দিয়েছেন। তবে দলীয় সূত্রের খবর, এবার মন্ত্রিসভার রদবদলের সময় এক ব্যক্তি-এক পদ নীতি মেনে চলেছে কংগ্রেস। তাই যাদের মন্ত্রী করা হল তাঁরা দলে বড় পদ পাবেন না। আবার যারা মন্ত্রিসভায় জায়গা পেলেন না, তাঁরা দলে পদ পাবেন।
[আরও পড়ুন: আন্দোলনে মৃত ৭৫০ কৃষকের পরিবারকে ৩ লক্ষ টাকা করে অনুদান তেলেঙ্গানা সরকারের, চাপে কেন্দ্র]
কংগ্রেস (Congress) সূত্রের খবর, দিল্লির নেতাদের হস্তক্ষেপ এবং শচীন পাইলট এবং অশোক গেহলটের মধ্যে দফায় দফায় আলোচনার পর দুই শিবিরকে অনেকটাই শান্ত করা গিয়েছে। মিলেছে রফাসূত্র। শচীন পাইলটের সঙ্গে এআইসিসির নেতারা দফায় দফায় বৈঠক করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের (Ashok Gehlot) সঙ্গেও একাধিকবার কথা বলেছেন দিল্লির কংগ্রেস নেতারা। তারপরই মন্ত্রিসভায় রদবদলের সিদ্ধান্ত।