সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভালবাসায় বিদ্বেষের কোনও জায়গা নেই। ‘লাভ জেহাদ’ বলে কোনও কিছুর অস্তিত্বও নেই। বিজেপিই এই শব্দটির জন্ম দিয়েছে দেশের মানুষের মধ্যে বিভাজন তৈরির লক্ষ্যে।
শুক্রবার একগুচ্ছ টুইটে এমনটাই দাবি করলেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী তথা বর্ষীয়ান কংগ্রেস (Congress) নেতা অশোক গেহলট (Ashok Gehlot )। তাঁর দাবি, ‘লাভ জেহাদে’র কোনও সংজ্ঞা সংবিধানে নেই। আর এর বিরুদ্ধে কোনও আইন আনা মানে সংবিধানকে অমান্য করা এবং প্রাপ্তবয়স্কদের ব্যক্তিগত পছন্দে হস্তক্ষেপ করা।
আসলে মোদি জমানায় দেশে জ্বলন্ত ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে ‘লাভ জেহাদ’ (Love Jihad)। ভিনধর্মের, বিশেষ করে মুসলিম সম্প্রদায়ের ছেলেরা হিন্দু মেয়েদের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ালেই সেই সম্পর্ককে ‘জেহাদ’ হিসেবে দেগে দেওয়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। অনেক সময় এই ‘লাভ জেহাদ’ বিরোধী প্রচার গেরুয়া শিবিরকে ভোটের ময়দানেও সুবিধা দিচ্ছে। সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশের উপনির্বাচন এবং বিহারের নির্বাচনে ইস্যু হয়ে উঠেছিল হরিয়ানার বল্লভগড়ের একটি ঘটনা। যেখানে বিয়ে করতে না চাওয়ায় এক হিন্দু তরুণীকে খুন করার অভিযোগ উঠেছে সংখ্যালঘু এক তরুণের বিরুদ্ধে। এই ঘটনার পর বিজেপি (BJP) শাসিত রাজ্যগুলি লাভ জেহাদের বিরুদ্ধে আইন আনার তোড়জোড় শুরু করেছে। মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা, গুজরাট সরকার ইতিমধ্যেই ঘোষণা করে দিয়েছে, লাভ জেহাদ রুখতে অত্যন্ত কড়া আইন আনতে চলেছে তারা। এমনকী কেন্দ্রও নাকি ভিনধর্মে বিবাহ রুখতে আইন আনতে পারে বলে রটনা শোনা যাচ্ছে।
[আরও পড়ুন: বাংলা জয়ই লক্ষ্য, রাজ্যে ডজনের বেশি নির্বাচনী জনসভা করবেন প্রধানমন্ত্রী মোদি]
স্বাভাবিকভাবেই হিন্দি বলয়ের রাজ্য রাজস্থানেও (Rajasthan) লাভ জেহাদ বিরোধী আইন আনার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর উপর চাপ বাড়াচ্ছে বিরোধীরা। কিন্তু গেহলট এদিন টুইটে স্পষ্ট করে দিয়েছেন, তিনি এই ধরনের কোনও আইন আনার কথা ভাবছেনও না। বরং, লাভ জেহাদের অস্তিত্বেই বিশ্বাস করেন না তিনি। টুইটে গেহলটের বক্তব্য,”লাভ জেহাদ একটা শব্দ যেটা বিজেপি দেশে বিভাজন ছড়ানোর লক্ষ্যে তৈরি করেছে। বিয়েটা ব্যক্তি স্বাধীনতার বিষয়। তাই বিয়ে রুখতে আইন আনাটা বোকামি। ভালবাসায় জেহাদের কোনও জায়গা নেই। এটা আসলে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি এবং সামাজিক সংহতি নষ্ট করার একটা অপচেষ্টা।”