সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনে ধাক্কা খেতে হয়েছিল। কিন্তু পুর নির্বাচনে ফের নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করে ফেলল রাজস্থানের শাসক দল কংগ্রেস। রাজ্যের ৯০টি পুরসভা এবং পুর নিগমের নির্বাচনে বিজেপির থেকে সামান্য হলেও এগিয়ে রইল হাত শিবির। তবে, প্রত্যাশার তুলনায় খুব একটা খারাপ ফল করেনি গেরুয়া শিবিরও।
দিন কয়েক আগেই রাজস্থানের ৮১টি পুরসভা এবং ৯টি পুরনিগমে নির্বাচন হয়েছে। রাজ্যের মোট ২০টি জেলায় এই পুরনিগমগুলি অবস্থিত। স্বাভাবিকভাবেই এই নির্বাচনের ফলাফল রাজ্যের মানুষের সার্বিক জনমতের বহিঃপ্রকাশ বলে মনে করা হচ্ছে। মোট ৩০৩৫টি ওয়ার্ডের মধ্যে বিকেল চারটে পর্যন্ত ১ হাজার ১৮২ টি ওয়ার্ডে এগিয়ে বা জয়ী হয়েছে কংগ্রেস। অন্যদিকে বিজেপি এগিয়ে ১ হাজার ১৩৬টি আসনে। ৪৬টি আসন পেয়েছে এনসিপি (NCP)। আরএলপি ১৩টি আসনে, বিএসপি এগিয়ে মাত্র ১ আসনে। রাজস্থানের পুরভোটে ৩টি আসন পেয়ে খাতা খুলেছে সিপিএম (CPM)। নির্দল প্রার্থীরা এগিয়ে প্রায় ৬০০’র কাছাকাছি আসনে। রাজস্থানে ক্ষমতায় না থাকা সত্ত্বেও বিজেপি যেভাবে কংগ্রেসকে টক্কর দিয়েছে তা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। তবে, গেরুয়া শিবিরের আশঙ্কা বোর্ড গঠনের সময় কাউন্সিলর কেনাবেচা হতে পারে। আর সেই আশঙ্কা থেকেই একাধিক জায়গায় দলের প্রার্থীদের হোটেলে বন্দি করে ফেলেছে গেরুয়া শিবির। উল্লেখ্য, ভোটের আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রায় ৬০০ আসনে জিতে গিয়েছিল কংগ্রেস। বিজেপি জিতেছিল ৫০ আসনে। আর রাজ্যে ক্ষমতায় থাকার দরুন নির্দলদেরও কংগ্রেসকে সমর্থন করার সম্ভাবনা বেশি। সেক্ষেত্রে বেশিরভাগ জায়গায় বোর্ড গঠনের সম্ভাবনা কংগ্রেসেরই।
[আরও পড়ুন: ‘কুমিরের কান্না’, সাধারণতন্ত্র দিবসের হিংসা নিয়ে মোদির বক্তব্যকে আক্রমণ কংগ্রেসের]
রাজ্যে ক্ষমতায় থাকা সত্ত্বেও রাজস্থানের পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির থেকে কম আসন পেয়েছিল কংগ্রেস। যা দলের পক্ষে বড়সড় ধাক্কা। কারণ, পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফল মূলত রাজ্যের শাসকদলের পক্ষে যাওয়ার প্রবণতাই বেশি দেখা যায়। আর তাছাড়া, এতদিন পর্যন্ত শহরাঞ্চলের থেকে গ্রামাঞ্চলেই বেশি সাফল্য পেয়ে আসছিল কংগ্রেস (Congress)। পঞ্চায়েতে বিজেপির থেকে কম আসন পাওয়াটা তাই একই সঙ্গে মরুরাজ্যে গেহলট সরকারের নীতি এবং কংগ্রেসের সাংগঠনিক শক্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছিল। পুরভোটের ফলাফলে গেহলট সরকারকে অক্সিজেন জোগাবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।