সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাকিস্তানি (Pakistan) হিন্দুদের বস্তিতে বুলডোজার চালানো হল রাজস্থানে (Rajasthan)। জানা গিয়েছে, জয়সলমেরের জেলাশাসক টিনা ডাবি আদেশ দিয়েছিলেন যেন ওই বস্তি উচ্ছেদ করা হয়। সেই মতোই বুলডোজার চালিয়ে, ঘরে আগুন ধরিয়ে ওই বস্তি থেকে বাসিন্দাদের সরানো হয়। এহেন ঘটনার প্রতিবাদে জেলাশাসকের কার্যালয়ের সামনে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু করেন পাকিস্তানি হিন্দুরা। যদিও জেলাশাসকের দাবি, আগে থেকেই নোটিস দেওয়া হয়েছিল ওই বস্তিতে।
ঘটনাটি ঘটেছে অমরসাগর গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনস্থ একটি গ্রামে। পাকিস্তান থেকে উচ্ছেদ হওয়া হিন্দুরাই মূলত এই গ্রামের বাসিন্দা। তবে জেলাশাসকের অভিযোগ দায়ের করে বলা হয়, সরকারি দপ্তরের জমি বেআইনিভাবে অধিগ্রহণ করেছে হিন্দু শরণার্থীরা। এমনকি সরকারি জমি বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে তাঁদের বিরুদ্ধে। সেই জন্যই পাক হিন্দু শরণার্থীদের উচ্ছেদ করতে অভিযান শুরুর নির্দেশ দেওয়া হয়।
[আরও পড়ুন: ‘আবহাওয়া খারাপ, শরীর ভাল না, কয়েকদিন বিশ্রাম নাও’, অভিষেককে ‘বকুনি’ মমতার]
জানা গিয়েছে, বুলডোজার দিয়ে ভেঙে দেওয়া হয়েছে বস্তির ৫০টি বাড়ি। ঘর ছাড়া হয়েছেন নারী, শিশু-সহ ১৫০ জন। বাধা দিতে গেলে মহিলাদের হেনস্তা করা হয়েছে বলেও অভিযোগ। প্রতিবাদের রেশ গড়ায় জেলাশাসকের দপ্তর পর্যন্ত। পাকিস্তানি হিন্দু শরণার্থীদের জন্য বিকল্প আশ্রয়ের ব্যবস্থা করতে হবে, এই দাবিতে দপ্তরের বাইরে বিক্ষোভ শুরু হয়। যতক্ষণ না পুনর্বাসন দেওয়া হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত বিক্ষোভ থামবে না বলেই সাফ জানিয়ে দেন বিক্ষোভকারীরা।
তবে জেলাশাসক টিনার দাবি, আগে থেকে নোটিস দেওয়া হয়েছিল পাক শরণার্থীদের। তা সত্ত্বেও ওই এলাকা থেকে সরে যাননি তাঁরা। সেই জন্য পুলিশের উপস্থিতিতে বুলডোজার দিয়ে কার্যত গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় পাক হিন্দুদের বস্তি। যদিও এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করার পদ্ধতি নিয়ে রোষের মুখে পড়েছেন জেলাশাসক টিনা ডাবি।