সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চূড়ান্ত অমানবিক। হিংস্র, নৃশংস বললেও যেন কম বলা হয়। জিভ আর নাক কেটে টুকরো টুকরো করে দেওয়া হল এক বিধবার। তাঁর অপরাধ? দ্বিতীয়বার বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চাননি। আপাতত মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন তিনি।
রাজস্থানের জয়সলমেরের এমন নৃশংস ঘটনা সামনে আসতেই শিউরে উঠছেন সকলে। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, অনেক দিন ধরে ওই বিধবার শ্বশুরবাড়ির লোকেরাই তাঁর বিয়ে দেওয়ার জন্য আদা-জল খেয়ে চেষ্টা করছিল। তারাই একজন ব্যক্তিকে বেছে দেয়। মহিলাকে বলা হয়, এর সঙ্গেই বিয়ে করতে হবে তাঁকে। কিন্তু দ্বিতীয়বার বিয়ের প্রস্তাবে রাজি হননি বিধবা। তাই তার জন্যই ভয়ংকর ‘শাস্তি’ পেতে হল তাঁকে। অভিযোগ, শ্বশুরবাড়ির সদস্যই ট্রাক্টরে চেপে এসে ধারাল অস্ত্র দিয়ে মহিলার জিভ ও নাক টেকে টুকরো টুকরো করে দেয়। হাতেও গভীর চোট পান তিনি। একজন আটকানোর চেষ্টা করলে তাঁকেও আক্রমণ করা হয়। খবর ছড়িয়ে পড়লে পরে অত্যন্ত সংকটজন অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভরতি করা হয়।
[আরও পড়ুন: ‘মানুষের মনোবল ভেঙে যাচ্ছে, এটা বিকাশ না বিনাশ?’ আবারও কেন্দ্রকে তোপ রাহুলের]
মহিলার শুশ্বরবাড়ির নামে শঙ্কর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তাঁর ভাই। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্তে নামে পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয় মূল অভিযুক্ত জানু খানকে। তবে ঘটনার পর থেকেই পলাতক অন্যান্য সদস্যরা। তাদের সন্ধান চলছে বলেই জানিয়েছে পুলিশ। দ্রুত তাদের গ্রেপ্তার করা হবে বলেও বিধবার পরিবারকে আশ্বস্ত করা হয়েছে।
নির্যাতিতার ভাই জানান, বছর ছয়েক আগে কোজে খান নামের ব্যক্তির সঙ্গে দিদির বিয়ে হয়েছিল। বছর খানেক আগে তিনি মারা যান। অভিযোগ, তারপর থেকেই ছেলের স্ত্রীকে দ্বিতীয় বিয়ের জন্য জোর করতে শুরু করে বাড়ির লোকেরা। কিন্তু শ্বশুরবাড়ির বেছে দেওয়া পাত্রের সঙ্গে বিয়েতে বারবারই আপত্তি দেখান তিনি। তারই পরিণতি ভোগ করলেন মঙ্গলবার।