shono
Advertisement

করোনায় মৃত বাবার জ্বলন্ত চিতায় ঝাঁপ মেয়ের! সহমরণের ‘অন্য’ ছবি রাজস্থানে

ওই মহিলার শরীরের ৭০ শতাংশই পুড়ে গিয়েছে।
Posted: 05:03 PM May 05, 2021Updated: 07:06 PM May 05, 2021

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চোখের সামনে চিতার (Pyre) লেলিহান আগুনের শিখা গ্রাস করে নিচ্ছিল সদ্য করোনায় (Coronavirus) মৃত বাবার শরীরটা। যা দেখে আর শেষ পর্যন্ত নিজেকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলেন না ৩৪ বছরের যুবতী কন্যা। ছুটে গিয়ে লাফিয়ে পড়লেন দাউ দাউ চিতার মধ্যে! এমনই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে রাজস্থানের (Rajasthan) বার্মের জেলায়। ওই মহিলার শরীরের ৭০ শতাংশই পুড়ে গিয়েছে। আপাতত তিনি একটি সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

Advertisement

জানা যাচ্ছে, গত মঙ্গলবার ৭৩ বছরের দামোদরদাস সারদার মৃত্যু হয়। তিনি করোনায় সংক্রমিত হয়েছিলেন। রবিবার থেকেই ভরতি ছিলেন হাসপাতালে। শেষ পর্যন্ত মঙ্গলবার তিনি প্রয়াত হলে তাঁর দেহের সৎকারের ব্যবস্থা করা হয়। আর তারপরই ঘটে যায় অঘটন।

[আরও পড়ুন: সম্পূর্ণ লকডাউন নয়, কোভিড মোকাবিলায় বড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর]

ঠিক কী ঘটেছিল? জানা যাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দামোদরদাসের পরিবারের হাতে তুলে দিয়েছিল প্রবীণ ওই ব্যক্তির মৃতদেহ। যেহেতু করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি, তাই তাঁর শবযাত্রাও হয় কোভিড (Covid-19) বিধি মেনেই। ৩৪ বছরের চন্দ্রকলা তাঁর কনিষ্ঠ কন্যা। তিনি খুব জোর করেন তাঁকেও শ্মশানে নিয়ে যাওয়ার জন্য।

তদন্তকারী পুলিশ অফিসার প্রেম প্রকাশ জানাচ্ছেন, ‘‘দামোদরদাসের স্ত্রীও মারা গিয়েছিলেন বেশ কিছুদিন আগে। এই অবস্থায় বাবার শেষকৃত্যে যোগ দেওয়ার জন্য জেদ করেছিল ছোট মেয়েটি।’’ শেষ পর্যন্ত তাঁর অনুরোধ মেনে চন্দ্রকলাকে শ্মশানে নিয়ে আসা হয়। এরপর চিতা জ্বলে উঠলে কিছু পরেই অকস্মাৎ তিনি ছুটে গিয়ে লাফ দেন তার মধ্যে। খুব দ্রুতই তাঁকে উদ্ধার করা হয়।

কিন্তু ততক্ষণে তাঁর শরীরের অধিকাংশই দগ্ধ হয়ে গিয়েছে। দ্রুত স্থানীয় এক হাসপাতালে নিয়ে গেলে তারা সেখান থেকে যোধপুরের এক সরকারি হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয় ওই যুবতীকে। আপাতত সেখানেই চিকিৎসাধীন তিনি। এমন মর্মান্তিক ঘটনায় মানসিক ভাবে আঘাত পেয়েছেন অন্য আত্মীয়স্বজনরা। হতবাক প্রতিবেশীরাও।

[আরও পড়ুন: শেন ওয়ার্ন-গিলক্রিস্টের প্রাক্তন সতীর্থকে অপহরণ! চাঞ্চল্য ক্রিকেট মহলে]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement