সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মদের নেশায় ডুবে থাকতেন। দিনে ক’টা যে সিগারেট পোড়াতেন তার হিসেব ছিল না। আমিষ ছাড়া খাবার মুখে উঠত না। এমনই বেহিসেবী জীবন কাটাতেন রজনীকান্ত (Rajinikanth)। একজন মানুষই বদলে দিয়েছেন দাক্ষিণাত্যের থালাইভাকে। এতদিনে সে কথা জানালেন তিনি।
ওয়াই জি মহেন্দ্রণের নাটের ৫০ দিন উদযাপনের অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন রজনীকান্ত। সেখানেই একথা জানান। পাশাপাশি মহেন্দ্রণকে ধন্যবাদও জানান তিনি। কারণ তাঁর জন্যই জীবন বদলে দেওয়া মানুষটির দেখা পেয়েছিল দক্ষিণের মেগাস্টার। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রজনীকান্ত জানান, কন্ডাক্টার হিসেবে জীবন শুরু করেছিলেন তিনি। সেই সময় থেকেই যথেচ্ছ ধূমপান ও মদ্যপান করতেন। কোনও হিসেব থাকত না। অভিনেতা হওয়ার পরও এই অভ্যাস রজনীকান্ত ছাড়তে পারেননি।
[আরও পড়ুন: মধুর মিলন! মুম্বই বিমানবন্দরে আরবাজকে জড়িয়ে ধরলেন মালাইকা, ভাইরাল ছবি]
বর্ষীয়ান অভিনেতা জানান, মদ ও সিগারেট ছাড়া তাঁর একটি দিনও চলত না। এর পাশাপাশি দু’বেলা পারলে তিন বেলাই আমিষ খাবার খেতেন। কিন্তু তাঁর এই বদ অভ্যাস পালটে দেন স্ত্রী লতা। তাঁকে সুস্থ শরীরের মূল্য বোঝান। রজনীকান্ত জানান, মদ, মাংস আর সিগারেট, এই তিনটে একসঙ্গে চলতে থাকলে শরীর মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিশেষ করে ষাট বছর বয়সের পর। ভাগ্যিস মহেন্দ্রণ তাঁকে লতার সঙ্গে আলাপ করিয়ে দিয়েছিলেন। না হলে যে কী হত কে জানে? হাসিমুখে বলেন সুপারস্টার।
১৯৫০ সালে বেঙ্গালুরুর মারাঠি পরিবারে জন্ম রজনীকান্তের। জন্মসূত্রে তাঁর নাম শিবাজি রাও গায়কোয়াড়। বাড়িতে মারাঠি ভাষা বললেও বাইরে কন্নড় ভাষায় স্বচ্ছন্দ ছিলেন রজনীকান্ত। সংসারের হাল ধরতে কখনও কুলির কাজ করেছেন, কখনও বাস কন্ডাক্টার হিসেবে কাজ করেছেন। পরে মাদ্রাজ ফিল্ম ইনস্টিটিউটে ভরতি হন। সেখানে পড়াশোনার সময়ই পরিচালক কে বালাচান্দেরের নজরে পড়ে যান। তাঁর পরিচালিত তামিল ছবি ‘অপূর্ব রাগানাঙ্গাল’ দিয়েই সিনেমার জগতে যাত্রা শুরু করেন। ১৯৭৫ সালে মুক্তি পেয়েছিল ছবিটি। তারপর দশকের পর দশক ধরে চলমান চিত্রে নিজের একাধিপত্য বিস্তার করেছেন। শুধু দক্ষিণী সিনেমা নয় হিন্দি সিনেমার জগতেও নিজের প্রতিভার পরিচয় রেখেছেন। ২০২১ সালে দাদাসাহেব ফালকে অ্যাওয়ার্ডে সম্মানিত হয়েছেন রজনীকান্ত।