সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কর্ণাটক নাটকের প্রথম অঙ্কের সমাপ্তি ঘটেছে। সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকায় পতন ঘটেছে বিজেপির আড়াই দিনের সরকারের। বিরোধীরা বিজেপির পরাজয়ে গণতন্ত্রের জয় দেখছেন। এরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই জয়কে গণতন্ত্রের জয় বলে দাবি করেছেন। একই সঙ্গে তৃণমূলনেত্রী এই জয়কে বর্ণনা করেছেন আঞ্চলিক শক্তির জয় হিসেবে। একই সুরে সুর মেলাচ্ছে অন্য বিরোধীরাও, কংগ্রেস থেকে শুরু করে বিএসপি, আরজেডির মত বিরোধীরাও ইয়েদুরাপ্পার পতনকে গণতন্ত্রের জয় হিসেবেই বর্ণনা করছে।
[ইস্তফা দেওয়া উচিত কেন্দ্র সরকারেরও, প্রধানমন্ত্রীকে তোপ অখিলেশের]
এবার কর্ণাটকের নাটকীয় পট পরিবর্তন নিয়ে মুখ খুলেন সুপারস্টার রজনীকান্ত। খানিকটা বিরোধীদের সুরে সুর মিলিয়েই রজনী বললেন, কর্ণাটকে যা হয়েছে তা গণতন্ত্রেরই জয়। সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের জন্য ইয়েদুরাপ্পাকে ১৫ দিন সময় দিয়েছিলেন রাজ্যপাল বাজুভাই বালা, যাকে গণতন্ত্রের উপহাস হিসেবেই বর্ণনা করছেন তালাইভা। আজ চেন্নাইয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রজনীকান্ত বলেন, ‘রাজ্যপাল বিজেপিকে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের জন্য ১৫ দিন সময় দিয়েছিলেন, এটা গণতন্ত্রের উপহাস। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশেই গণতন্ত্র রক্ষিত হয়েছে, আমি সর্বোচ্চ আদালতকে ধন্যবাদ জানায়।’
এই প্রথম বিজেপির বিরুদ্ধে সরাসরি মুখ খুললেন রজনীকান্ত। রাজনীতিতে প্রবেশ করার কথা ঘোষণার আগে থেকেই গেরুয়া শিবিরের প্রতি নরম মনোভাব দেখিয়েছেন দক্ষিণের সুপারস্টার। এমনকি রাজনীতিতে নামার আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পরামর্শও নিয়েছিলেন রজনী। এর আগে মোদির বেশ কিছু সিদ্ধান্তের প্রশংসাও শোনা গিয়েছিল তালাইভার মুখে। এতে অনেকেই মনে করছিলেন রাজনীতিতে এলে হয়তো গেরুয়া শিবিরের কাছাকাছি থাকবেন রজনীকান্ত। কিন্তু আজকের মন্তব্যের পর আবার নতুন করে তাঁর বিরোধী শিবিরে যোগ দেওয়ার জল্পনা শুরু হল। যদিও, এখনই কোনও জোটে যোগ দেওয়ার পক্ষে নন তিনি, তাঁর সাফ কথা নতুন দল ঘোষণার পরই ঠিক করবেন পরবর্তী পদক্ষেপ।
এদিকে, ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে ভোটের ময়দানে নামার সম্ভাবনাও জিইয়ে রেখেছেন রজনী। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, নির্বাচনে লড়ার বিষয়টা ভোট ঘোষণার পর ঠিক করব, তবে আমরা সব রকম পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত আছি।
[কর্ণাটক হারিয়ে অমিত শাহের নজরে এবার বাংলা]
কর্ণাটকে ক্ষমতা হারানোর পর দক্ষিণের অন্য রাজ্যগুলিতে ক্ষমতা বাড়ানোর চেষ্টা করছে বিজেপি। পার্শ্ববর্তী রাজ্য তামিলনাড়ুতেও ক্ষমতা বাড়ানোর বিস্তর চেষ্টা করছে গেরুয়া শিবির। অনেকে মনে করছিলেন এই কাজে রজনীকান্তকে পাশে পেতে পারেন মোদি, অমিত শাহরা, কিন্তু মহাতারকার আজকের মন্তব্যের পর সেই রাস্তা আপাতত বন্ধ হয়ে গেল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
The post রজনীর মুখে বিজেপি বিরোধিতার সুর! তবে কি বিরোধী শিবিরে তালাইভা? appeared first on Sangbad Pratidin.