সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: কৃষি আইন বিরোধী বিক্ষোভের আঁচ পৌঁছে গিয়েছে রাজ্যসভাতেও। মঙ্গলবারের পর বুধবারও এই ইস্যুতে উত্তাল রইল সংসদের উচ্চকক্ষ। এদিন ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখান আপ সাংসদেরা। এরপরই কেজরিয়ালের দলের তিন সাংসদকে রাজ্যসভা থেকে বের করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডু। তাঁর নির্দেশে মার্শাল ওই তিনজনকে বের করে দেন।
এদিন সকালে অধিবেশন শুরু হতেই সাসপেনশন অব বিজনেসের নোটিস দেন বিরোধী দলের সাংসদেরা। অর্থাৎ দিনভর অন্য সমস্ত আলোচনা বাতিল করে শুধুমাত্র কৃষি আইন নিয়ে আলোচনার দাবি জানিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু তাঁদের সেই প্রস্তাব বাতিল করে দেন চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডু। এরপরই বিরোধী দলের সাংসদেরা তুমুল বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। সেই সময় কয়েকজন সাংসদ মোবাইল ফোন বের করে বিক্ষোভের ছবি ভিডিও করতে শুরু করে দেন। এরই মাঝে সকাল ৯.৪০ পর্যন্ত রাজ্যসভার অধিবেশন মুলতুবি করে দেওয়া হয়।
[আরও পড়ুন : কৃষক আন্দোলনে মৃতের তথ্য দিতে ব্যর্থ কেন্দ্র, দেওয়া হবে না ক্ষতিপূরণও]
বেশকিছুক্ষণ মুলতুবি থাকার পর রাজ্যসভার অধিবেশন শুরু হতেই নয়া কৃষি আইনের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন আপ সাংসদেররা। ওয়েলে নেমে বিক্ষোভও দেখান তাঁরা। এরপরই তাঁদের রাজ্যসভা থেকে বের করে দেওয়ার নির্দেশ দেন নাইডু। নির্দেশ মেনে মার্শাল আপ সাংসদ সঞ্জয় সিং, সুশীল কুমার গুপ্তা এবং এন ডি গুপ্তাকে বের করে দেন। এদিকে যাঁরা মোবাইলে ছবি, ভিডিও করছিলেন, চেয়ারম্যান তাঁদের সতর্ক করে দেন।
প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপর বক্তব্য রাখার সময় কৃষি আইন নিয়ে আলোচনা করতে পারেন সাংসদরা। এর জন্য অতিরিক্ত ৫ ঘন্টা বরাদ্দ হয়েছে। ফলে মোট আলোচনার সময় হল ১৫ ঘন্টা। এর জন্য বৃহস্পতিবার পর্যন্ত প্রশ্নোত্তর পর্ব ও শুক্রবার পর্যন্ত জিরো আওয়ার বাতিল হল। বিরোধী দলগুলির নেতাদের সঙ্গে আলোচনার পর এ কথা জানালেন সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী।
উল্লেখ্য, অন্য সব কিছু বাদ দিয়ে আগে কৃষি আইন, কৃষকদের আন্দোলন সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা করতে হবে। মঙ্গলবার সংসদের দুই কক্ষে এই দাবিতে অনড় ছিল কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস, বাম-সহ বিরোধী দলগুলি। যার জেরে দফায় দফায় মুলতুবি করতে হয় রাজ্যসভা ও লোকসভার অধিবেশন। অবশেষে সারাদিনের জন্যই সংসদ মুলতুবি করে দেওয়া হয়।