রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: রাজ্যসভার ভোটে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হলেন তৃণমূলের (TMC) চারজন। তাঁদের সঙ্গে জিতে রাজ্যসভায় গেলেন বিজেপির একজন। মঙ্গলবার বিধানসভায় এসে সচিবের থেকে রাজ্যসভায় (Rajya Sabha) জয়ের শংসাপত্র নিলেন তৃণমূলের নাদিমুল হক, সুস্মিতা দেব, মমতাবালা ঠাকুর ও সাগরিকা ঘোষ। তাঁদের পরে শংসাপত্র নেন বিজেপির শমীক ভট্টাচার্য।
জয়ের শংসাপত্র নেওয়ার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তৃণমূলের জয়ী চার সাংসদ। বাংলার বকেয়া প্রাপ্য বকেয়া আদায়ের দাবিতেই রাজ্যসভায় তাঁরা আওয়াজ তুলবেন বলে জানিয়েছেন তৃণমূলের জয়ী সাংসদরা। একইসঙ্গে সুস্মিতা, মমতাবালা, নাদিমুল ও সাগরিকাদের নিশানায় ছিল বিজেপি সরকার। নাদিমুল হক বলেন, ‘‘বাংলাকে বঞ্চনা করছে কেন্দ্রীয় সরকার। বাংলার প্রাপ্য যাতে আসে সেজন্য আমরা আওয়াজ তুলব রাজ্যসভায়।’’ সুস্মিতা দেব (Susmita Dev) বলেন, বিজেপি বারবার বাংলাকে টার্গেট করছে। যতবার বাংলাকে বঞ্চিত করা হবে ততটাই তৃণমূল সদনের ভিতরে ও বাইরে শক্তিশালী হবে।’’ বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করে সুস্মিতার বক্তব্য, ‘‘বিজেপির দু’মুখো রাজনীতি। মণিপুরের জন্য এক, বাংলার জন্য আরেক।’’ এ প্রসঙ্গেই জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সেন রেখা শর্মা প্রসঙ্গে তাঁর মন্তব্য, ‘‘রেখা শর্মা (Rekha Sharma) টুরিস্টের মতো পশ্চিমবঙ্গে এসেছেন।মণিপুর গিয়েছিলেন তিনমাস পরে। ভারতীয় জনতা পার্টির নেতা এক পুলিশ অফিসারকে খালিস্তানি বলছেন, এ থেকে পরিষ্কার তারা মানুষে মানুষে বিভাজন চাইছে।’’
[আরও পড়ুন: যাবে না চাকরি, বরং তৈরি হবে নতুন সুযোগ, কৃত্রিম মেধার প্রসার নিয়ে দাবি IBM কর্তার]
মমতাবালা ঠাকুর বলেন, ‘‘আমাকে রাজ্যসভায় যাওয়ার সুযোগ করে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সমস্ত মতুয়া সমাজকে সন্মান দিয়েছেন।’’ বিজেপির রাজনীতির কড়া সমালোচনা করেন সাগরিকা ঘোষ। এছাড়াও তাঁর বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গণতন্ত্র রক্ষার লড়াই লড়ছেন। তাঁদের রাজ্যসভায় পাঠানোর জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানান তৃণমূলের চার সাংসদ।
[আরও পড়ুন: চণ্ডীগড় মেয়র নির্বাচন: বিরোধীদের ‘বাতিল’ ভোটও বৈধ, পুনর্গণনার সুপ্রিম নির্দেশে ধাক্কা বিজেপির]
উল্লেখ্য, বিধানসভায় বিধায়ক সংখ্যার নিরিখে এবার তৃণমূলের চার ও বিজেপির এক প্রার্থীর জয় নিশ্চিত ছিল। পাঁচটি আসনই ফাঁকা হয়। বাড়তি কেউ প্রার্থী না হওয়ায় ভোটাভুটিও হয়নি। এদিকে, জয়ীর শংসাপত্র নেওয়ার পর রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘দল আমায় দায়িত্ব দিয়েছে আমি কৃতজ্ঞ। পশ্চিমবঙ্গের কথা-ব্যাথা-সমস্যা তুলে ধরব। আমার দলের রাজনৈতিক অবস্থান তুলে ধরব রাজ্যসভায়।’’