সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হঠাৎই ব্যস্ততা। তড়িঘড়িই সিদ্ধান্ত। মে মাসেই আকাশে উড়বে ঝুনঝুনওয়ালার স্বপ্ন ‘আকাশ’। ভারতের ওয়ারেন বাফে হিসাবে চিহ্নিত শেয়ার বাজার জায়ান্ট রাকেশ ঝুনঝুনওয়ালা গত বছরই তাঁর উড়ান সংস্থার আনার জন্য উদ্যোগ নেন। অসামরিক উড়ান মন্ত্রকের থেকে অনুমোদনও মিলে গিয়েছে। নাম রাখা হয় ‘আকাশ’, উচ্চারণ ভেদে ‘আকাসা’।
কেনা হয়ে গিয়েছে একগুচ্ছ জেট বিমানও। পরবর্তী পর্যায়ে চলছে তা সাজিয়ে গুছিয়ে নেওয়া এবং সংস্থায় মানবসম্পদ অর্থাৎ কর্মী নিয়োগ পর্ব। কিন্তু হঠাৎই গোটা প্রক্রিয়া দ্রুত করার উদ্যোগ নেয় সংস্থা। এবং মে মাসের শেয দিকেই উড়ান শুরু করার জন্য ঝুনঝুনওয়ালা একদিকে যেমন দ্রুত কর্মী নিয়োগের উপর জোর দিচ্ছেন তেমনই ভাল কর্মী আনার জন্য দিচ্ছেন একাধিক সুযোগ। জানা গিয়েছে, উড়ান সংস্থার কর্মীদের জন্য দিচ্ছেন ভাল অফার।
[আরও পড়ুন: ‘প্রার্থী অপছন্দ’, নির্বাচনী কমিটির আহ্বায়ক পদ ছাড়ার ইচ্ছাপ্রকাশ অখিল গিরির]
গত দু’বছর অতিমারীর কারণে নানা ব্যবসাই যেমন ধাক্কা খেয়েছে তেমনই মুখ থুবড়ে পড়েছে উড়ান সংস্থাগুলিও। কারণ একটা বড় সময় সমস্ত উড়ান পরিষেবা বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয় প্রশাসন। এই অবস্থায় নতুন উড়ান সংস্থা এনে বাজার ধরার চেষ্টায় রয়েছেন শেয়ার মার্কেট জায়ান্ট। কর্মীদের জন্য সংস্থার শেয়ার দেওয়া হবে ভাল কাজের ফল স্বরূপ। পুরো সময়ের জন্য নিযুক্ত পাইলট ও ক্রুদের জন্য এই অফার দিচ্ছেন তিনি। অপর দিকে, সস্তার টিকিটে গ্রাহক টানার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। রাকেশ নিজের তরফ থেকে ইতিমধ্যেই ন’কোটি মার্কিন ডলার ঢেলেছেন এই উড়ান সংস্থায়।
লিকার ব্যারন বিজয় মালিয়া উড়ান সংস্থার ব্যবসায় মুখ থুবড়ে পড়েন। ২০১২ সালে ঋণের দায়ের বন্ধ হয়ে যায় তাঁর সংস্থা। আরেক শিল্পপতি নরেশ গোয়েলও তাঁর জেট এয়ারওয়েজ নিয়ে বিপুল ঋণের জালে জড়িয়ে পড়েন। ইন্ডিগো বা এয়ার এশিয়ারও বাণিজ্যিক পরিস্থিতি খুব একটা ভাল নয়। ঋণজর্জর এয়ার ইন্ডিয়াকে কিনে নিয়ে প্রতিযোগিতার আসরে এখন টাটাও। এই অবস্থায় সস্তার উড়ান এনে রাকেশের ‘আকাশ’ কতটা আকাশ দখল করতে পারে সেটা নিয়ে উন্মুখ শিল্পমহল থেকে সাধারণ মানুষ সকলেই।