সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চলতি বছর আগস্টে হঠাৎই বেশ কয়েকটি ছবি ছড়িয়ে পড়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। যেখানে নববধূর বেশে ধরা দিয়েছিলেন অভিনেত্রী রাখি সাওয়ান্ত। প্রথমে বিয়ের কথা স্বীকার না করলেও পরে অবশ্য নিজমুখেই জানিয়েছিলেন স্বামী রীতেশের কথা। এবার নিজেদের নতুন জীবন নিয়ে মুখ খুললেন রাখির বেটারহাফ। বলিউডের আইটেম গার্ল কি অন্তঃসত্ত্বা? সে প্রশ্নের উত্তরও দিলেন রীতেশ।
[আরও পড়ুন: দশমীতে জমজমাট মুখার্জিদের পুজো, রানি-কাজলের সঙ্গে সিঁদুর খেললেন করণ জোহর]
রাখির বিয়ে নিয়ে বহুদিন ধরেই জল্পনা চলছিল। বছর কয়েক আগে ‘রাখি কা স্বয়ম্বর’ নামে একটি রিয়ালিটি শো করেছিলেন বি-টাউনের ড্রামা কুইন। শোয়ের বিজয়ী কানাডার ব্যবসায়ী ইলেশ পারুজানওয়ালার সঙ্গে বাগদানও হয়ে যায় তাঁর। কিন্তু পরে সেই বিয়ে ভেঙে যায়। শোনা যায়, ইলেশ চাইছিলেন রাখি কাজ ছেড়ে তাঁর সঙ্গে কানাডায় সংসার পাতুন। কিন্তু রাখি রাজি হননি। এরপর গত বছর টেলিভিশন পার্সোনালিটি দীপক কালালের সঙ্গে বিয়ের কথা ঘোষণা করেন রাখি। ডিসেম্বরে বিয়ে হওয়ার কথা ছিল তাঁদের। কিন্তু কোনও কারণে সেই বিয়েও ভেস্তে যায়। রাখি এও জানিয়ে দেন, দীপকের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই তাঁর।
ফলে গত আগস্টে খ্রিস্টান বধূর সাজ যে ফোটোশুটের জন্য, রাখির সে তথ্য মেনে নিয়েছিলেন সকলেই। কিন্তু পরে মধুচন্দ্রিমার ছবি পোস্ট করতে সব ধোঁয়াশা দূর হয়। বিয়ের কথা স্বীকার করে রাখি জানান, তাঁর স্বামী রীতেশ ব্রিটেনবাসী। তবে তাঁর স্বামীর চেহারা এতদিন গোপনই রেখেছিলেন রাখি। অবশেষে এক সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দেওয়ায় এই দম্পতির বিবাহিত জীবনের কথা প্রকাশ্যে এল।
[আরও পড়ুন: মেসেজে কুপ্রস্তাব যুবকের, যোগ্য জবাব দিলেন স্বস্তিকা]
রীতেশ জানান, ক্যামেরার সামনে রাখি যেমনই হোক না কেন, ব্যক্তিগতভাবে ওঁ দারুণ একজন মানুষ। ভাগ্যবান বলেই রাখিকে স্ত্রী হিসেবে পেয়েছেন। রীতেশের কথায়, “রাখি আমার কাছে ঈশ্বরের আশীর্বাদ। ওর মতো কাউকে দেখিনি। ও খুব স্পষ্টবক্তা। আর সেটাই ওর সবচেয়ে বড় গুণ।” সঙ্গে এও জানান, তিনি আড়ালে থাকতে পছন্দ করেন বলেই নিজের অস্তিত্ব জাহির করতে চাননি। এরপরই তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, রাখি কি অন্তঃসত্ত্বা? সোজাসাপটা ভাষায় রীতেশ বলেন, “এখনও নয়, কিন্তু খুব শীঘ্রই হবে। আমার বিশ্বাস প্রথমে একটি মেয়ে হবে এবং পরেরটি ছেলে।”
The post রাখি সাওয়ান্ত কি অন্তঃসত্ত্বা? প্রথমবার মুখ খুললেন স্বামী রীতেশ appeared first on Sangbad Pratidin.