সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাবা সিদ্দিকির মৃত্যুর পর থেকেই মুম্বইয়ে আতঙ্কের পরিবেশ। তোলপাড় বলিউডও। শোনা গিয়েছে, সিদ্দিকির খুনের দায় স্বীকার করেছে বিষ্ণোই গ্যাং। লরেন্স বিষ্ণোইর নেতৃত্বাধীন এই গ্যাং এর আগে একাধিকবার সলমন খানকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে। ফলে সিদ্দিকির মৃত্যুর পর ভাইজানের নিরাপত্তা আরও বাড়ানো হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতেই বিতর্কিত টুইট পরিচালক রামগোপাল বর্মার।
ফাইল ছবি
সোমবার নিজের এক্স হ্যান্ডেলে 'সত্যা' সিনেমার পরিচালক লেখেন, 'এক আইনজীবী তথা গ্যাংস্টার হরিণের মৃত্যুর বদলা নিতে সুপারস্টারকে খুন করতে চায়। গ্যাংস্টারের সাতশো সদস্যের দল আছে। যে দলের সদস্যদের ফেসবুকের মাধ্যমে নেওয়া হয়েছে। হুঁশিয়ারি হিসেবে গ্যাংস্টারের দল প্রথমে সুপাস্টারের কাছের রাজনীতিবিদ বন্ধুকে খুন করে। কিন্তু পুলিশ গ্যাংস্টারকে ধরতে পারবে না। কারণ সে জেলে সরকারি সুরক্ষায় রয়েছে আর তার মুখপাত্র বিদেশ থেকে বক্তব্য পেশ করে। বলিউডের কোনও লেখক যদি এমন অবিশ্বাস্য ও হাস্যকর চিত্রনাট্য নিয়ে আসেন তাহলে তো গলাধাক্কা খাবে।'
প্রসঙ্গত, কৃষ্ণসার হরিণ হত্যাকাণ্ডে সলমনের নাম জড়ানোর পর থেকেই লরেন্স বিষ্ণোইর নিশানায় সলমন। শোনা যায়, গ্যাংস্টার হওয়ার আগে আইন নিয়ে পড়াশোনা করেছিল লরেন্স। পরে সে বিষ্ণোই গ্যাংয়ের প্রধান হয়ে যায়। বর্তমানে সে নাকি সাবরমতী জেলে রয়েছে। তবে একাধিকবার সলমনকে হুমকি দিয়েছে বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সদস্যরা। শোনা এও যাচ্ছে, সলমন খানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হওয়ার জেরেই খুন হতে হয়েছে এনসিপি (অজিত) নেতা বাবা সিদ্দিকিকে। রামগোপালের পোস্টে যেন সেই প্রসঙ্গই উঠে এসেছে।
উল্লেখ্য, এই বাবা সিদ্দিকিই সেই মানুষ, যিনি শাহরুখ খান ও সলমন খানের দীর্ঘ সময়ের দ্বন্দ্ব মিটিয়েছিলেন। এক সময় এমন ছিল যখন শাহরুখ-সলমন একে অন্যের ছায়া থেকেও দূরে থাকতেন। শোনা যায়, তাঁদের সম্পর্ক তিক্ত হয়েছিল ২০০৮ সালে। ক্যাটরিনা কাইফের জন্মদিনের একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে। তবে বাবা সিদ্দিকির ডাকেই তাঁর ইফতার পার্টিতে গিয়েছিলেন শাহরুখ ও সলমন। সেখানেই দুজনের অভিমানের বরফ গলে যায়। আলিঙ্গনে মিটে যায় যাবতীয় তিক্ততা। এর পরও একাধিকবার বাবা সিদ্দিকির ইফতার পার্টিতে গিয়েছিলেন শাহরুখ ও সলমন। বাবা সিদ্দিকির মৃত্যুর খবর পেয়েই হাসপাতালে ছুটে গিয়েছিলেন সলমন। 'বিগ বস'-এর শুটিংও বন্ধ করে দিয়েছিলেন তিনি।