শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) সেবক রোডে রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রম ভবনে দুষ্কৃতী হামলার অভিযোগ উঠেছে। ঠিক কী ঘটেছিল শনিবার রাতে? সোমবার রাতে সাংবাদিক সম্মেলন করে সেই ভয়াবহ অভিজ্ঞতা শোনালেন মহারাজ শিব প্রেমানন্দজি।
জলপাইগুড়ি রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমের প্রধান প্রেমানন্দজি মহারাজ জানিয়েছেন, ৩৫ জন দুষ্কৃতী মুখঢাকা অবস্থায় হামলা চালিয়েছিল শিলিগুড়ির রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমের শাখা সেবক হাউসে। দুজন নিরাপত্তা কর্মী-সহ সাতজনকে অপহরণ করে নিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। তিনি আরও দাবি করেন, "দুষ্কৃতীদের হাতে রড, কাটারি ও আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। প্রথমে আশ্রমের দুই নিরাপত্তারক্ষীকে বন্দি করে। এর পর দোতলায় উঠে ৫ জন কর্মীকে আটক করে। পরে ওই সাতজনকে এনজেপি রেল স্টেশন ও অন্যত্র ছেড়ে দেয়।" তিনি আরও জানান, সেবক হাউজ রামকৃষ্ণ মিশনের নথিভুক্ত সম্পত্তি। এই বাড়িটিকে সেবামূলক কাজে ব্যবহার করছেন তারা।
[আরও পড়ুন: রাজস্থানে কিশোরীকে গণধর্ষণের পর ইটভাটার চুল্লিতে পুড়িয়ে হত্যা! মৃত্যুদণ্ড দুই সাজাপ্রাপ্তকে]
রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমের তরফে ভক্তিনগর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন জলপাইগুড়ি আশ্রমের সম্পাদক স্বামী শিবপ্রেমানন্দ। ওই অভিযোগ জানানো হয়েছে, সেবক রোডের দ্বিতল ভবন ‘সেবক হাউজে’ শনিবার রাত সাড়ে তিনটে নাগাদ হামলা চালায় ১০ থেকে ১২ জন দুষ্কৃতী। সালুগারার বাসিন্দা প্রদীপ রায়ের প্ররোচনায় আচমকা আশ্রমের ভিতরে ঢুকে পড়ে তারা। দুষ্কৃতীদের সঙ্গে ছিল আগ্নেয়াস্ত্র, ধারাল ড্যাগার ইত্যাদি। ওই দুষ্কৃতীরা আশ্রমের নিরাপত্তারক্ষী ছাড়াও বেশ কয়েক জন কর্মীকে মারধর করে। তাঁদের আশ্রম ছাড়ার হুমকি দেয়। নচেত বিপদ হতে পারে বলে শাসায়। আশ্রম ভবন ছাড়ার আগে আশ্রম কর্মীদের মোবাইল ফোনগুলি কেড়ে নেয় এবং সিসিটিভি ক্যামেরাগুলিকে ভেঙে দিয়ে যায়।