সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অযোধ্যায় বহু প্রতীক্ষিত রাম মন্দির নির্মানের কাজ শুরু হবে আগামী বছরের ১৮ অক্টোবর থেকে। রবিবার এই কথা জানিয়েছেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের আন্তর্জাতিক যুগ্ম সচিব সুরেন্দ্র কুমার জৈন। কর্ণাটকে ধর্ম সংসদ শীর্ষক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে তিনি এই কথা ঘোষণা করেন। তিনি আরও জানিয়েছেন, মন্দিরের প্রশাসনিক কাজে শুধুমাত্র হিন্দুদেরই নিয়োগ করা হবে।
[অযোধ্যাতেই হবে রাম মন্দির, প্রত্যয়ী ঘোষণা ভাগবতের]
এখানে দাঁড়িয়েই মাত্র দু’দিন আগে আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত ঘোষণা করেন, অযোধ্যার পবিত্র মাটিতে হলে শুধু রাম মন্দিরই হবে, অন্য কিছু নয়। ধর্ম সংসদ অনুষ্ঠানের সূচনা করে তিনি এই কথা জানিয়ে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে রাম মন্দির গড়ে তুলতে যে পাথর দেশের নানা প্রান্ত থেকে অযোধ্যায় এনে জড়ো করা হচ্ছে, সেই পাথর দিয়েই গড়ে উঠবে রাম মন্দির। ভাগবত উড়ুপিতে আরও বলেন, ‘অযোধ্যাতেই হবে রাম মন্দির। যা তৈরি হবে গত ২৫ বছর ধরে চলে আসা রাম জন্মভূমি আন্দোলনের পাথর দিয়েই। সেদিন আর দূরে নেই, যেদিন মন্দিরের মাথায় গেরুয়া পতাকা উড়বে। রাম মন্দির ছাড়া আর কিছুই হতে দেব না এখানে।’
[বাবরি-রাম মন্দির বিতর্কে মধ্যস্থতা করতে অযোধ্যায় রবিশঙ্কর]
আরএসএসের এই মনোভাব রাজ্যে ২০১৮-র নির্বাচনের আগে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ। তাঁদের মধ্যেই একজন নরেন্দ্র পানি বলছেন, ‘রাম মন্দির ইস্যুতে আরএসএস নিজেদের অবস্থান ধরে রেখেছে। তাদের এই অবস্থান সম্ভবত রাজ্যের হিন্দু ভোটকে মাথায় রেখেই।’ ১৯৯২-তে বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পর থেকেই অযোধ্যায় নিয়ে যুযুধান হিন্দু ও মুসলিম সংগঠন। দু’পক্ষই চায় অযোধ্যায় নিজেদের দাবি কায়েম হোক। জল গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। তবে আদালতও চায়, কারও ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত না করে বিষয়টি নিয়ে মীমাংসায় পৌঁছতে। আর তাই সব পক্ষকেই আলোচনায় বসে মধ্যস্থতা করার ইঙ্গিত দিয়েছে শীর্ষ আদালত। তবে কোনওপক্ষই নিজেদের অনড় অবস্থান থেকে সরতে রাজি নয়।
[যে কোনও পরিস্থিতিতে ২০১৮-র মধ্যেই হবে রাম মন্দির, ঘোষণা VHP-র]
The post ২০১৮-তেই শুরু হবে রাম মন্দির নির্মাণ, প্রশাসনিক পদে শুধুমাত্র হিন্দুরাই appeared first on Sangbad Pratidin.