সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ওমিক্রনের (Omicron) সুনামিতে ভেঙে পড়তে পারে গোটা বিশ্বের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা। এমনটাই আশঙ্কা করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)। ভারতেও লাফিয়ে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা। অন্যদিকে গোটা দেশে সার্বিক করোনা আক্রান্তের গ্রাফও ঊর্ধ্বমুখী। এই পরিস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গ-সহ ৮টি রাজ্যকে নতুন করে সতর্ক করল কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ আজ এই সতর্কবার্তা জারি করেছেন।
এদিন সতর্ক করা হয়েছে দিল্লি, হরিয়ানা, তামিলনাড়ু, মহারাষ্ট্র, গুজরাত, কর্ণাটক, ঝাড়খণ্ড ও পশ্চিমবঙ্গকে। এইসব রাজ্যগুলিকে প্রাথমিক ভাবে কোভিড পরীক্ষা বাড়ানো, হাসপাতালগুলিকে প্রস্তুত রাখা, টিকাকরণের সংখ্যা বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে। কোভিড পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে, সে কথা মাথায় রেখে যে কোনও রকম পরিস্থিতি মোকাবিলায় তৈরি থাকতে বলা হয়েছে কেন্দ্রের তরফে।
[আরও পড়ুন: করোনা সংক্রমণ দ্বিগুণ হওয়ার আশঙ্কা! বর্ষবরণের সেলিব্রেশন বন্ধ রাখার আরজি চিকিৎসকদের]
যে সব রাজ্যে দ্রুত গতিতে সংক্রমণ বাড়ছে সেই রাজ্যগুলিকেই বিশেষ ভাবে সতর্ক করা হয়েছে। গতকাল ১৭৭ দিন পর পশ্চিমবঙ্গে করোনা আক্রান্ত হাজার ছাড়িয়েছে। ঊর্ধ্বমুখী অ্যাকটিভ কেস। রাজ্যে বর্তমানে ১১ জন ওমিক্রন আক্রান্ত বলে জানা গিয়েছে। এই অবস্থায় রাজ্যবাসীকে কোভিড নিয়ে সতর্ক হওয়ার বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এখনই লকডাউনের সিদ্ধান্ত না জানালেও সংক্রমণ রুখতে অবিলম্বে বাংলায় বিদেশ থেকে আসা বিমান ওঠা-নামা বন্ধ করা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
এদিকে তড়িঘড়ি ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তরও। ইতিমধ্যে কলকাতা-সহ সমস্ত জেলাকে সতর্ক করেছে তারা। কোভিড পরীক্ষা বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে। স্বাস্থ্যদপ্তরের কর্তাদের আশঙ্কা, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যের করোনা সংক্রমণ দ্বিগুণ হতে পারে। দৈনিক সংক্রমিত হতে পারেন ৩০-৩৫ হাজার মানুষ। এটাকে কার্যত তৃতীয় ঢেউ বলেই মনে করছেন স্বাস্থ্য আধিকারিকরা।
[আরও পড়ুন: ওমিক্রন রুখতে আদৌ সক্ষম করোনার টিকা? কী বলছেন WHO-র প্রধান বিজ্ঞানী?]
অন্যদিকে মহারাষ্ট্র ও দিল্লিতেও সাম্প্রতিককালে করোনা সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে রকেট গতিতে। মহারাষ্ট্রের কোভিড টাস্ক ফোর্সের অন্যতম এক সদস্যের বক্তব্য, মুম্বই ও দিল্লির পরিস্থিতি দেখে বলাই যায়, সেখানে বিচ্ছিন্ন ভাবে তৃতীয় ঢেউয়ের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে।