সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রামপুরহাটের (Rampurhat Incident) বগটুই গ্রামে ৮ জনের মৃত্যুর জের এবার কলকাতার (Kolkata) রাজপথে। শুক্রবার বিকেলে ঘটনার প্রতিবাদে এবং সুবিচারের দাবিতে পথে নামলেন বিদ্বজ্জনরা। অরাজনৈতিক মিছিলে পা মেলালেন বামপন্থী ছাত্র, যুব নেতারাও। ‘এই উল্লাসমঞ্চ আমার দেশ নয়’, লেখা বড় ব্যানার নিয়ে মৌলালি থেকে জোড়াসাঁকো পর্যন্ত মিছিলে হাঁটলেন পবিত্র সরকার, কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়, অনীক দত্তরা। মিছিল থেকে তাঁদের দাবি, প্রকৃত অন্যায়কারীদের খুঁজে শাস্তি দিতে হবে। সেই দাবিতেই সরকারের উপর চাপ বাড়াতে চাইছেন তাঁরা।
সোমবার রাতের আঁধারে রামপুরহাটে বগটুই গ্রামে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় পুড়েছে অন্তত ১০ টি বাড়ি। এই মর্মান্তিক ঘটনার কয়েকঘণ্টা আগেই সেখানে বোমাবাজিতে খুন হয়েছেন বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ভাদু শেখ। সেই মৃত্যুর বদলা নিতেই কি গভীর রাতে এতগুলি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ঘটানো হল? তা নিয়ে তদন্ত চলছে। গ্রামবাসীদের একাংশের অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে স্থানীয় তৃণমূল (TMC) নেতা আনারুল হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নৃশংস ঘটনায় কার্যত তপ্ত রাজ্য রাজনীতি।
[আরও পড়ুন: ভরদুপুরে বাড়ির ভিতরে খুন! শ্রীরামপুরে গলার নলি কাটা অবস্থায় উদ্ধার গৃহবধূর দেহ]
তবে এ ধরনের ঘটনায় সাধারণত সমাজের বিশিষ্টদের ভূমিকার দিকে নজর থাকে সবমহলের। তাঁদের সহমর্মিতা, সংবেদনশীলতা আলাদাভাবেই প্রতিবাদের প্রতীক হয়ে উঠতে পারে। এই ঘটনাতেও তার ব্যতিক্রম হল না। শুক্রবার বিকেলে মৌলালি থেকে জোড়াসাঁকো পর্যন্ত মিছিলের ছবি মনে করিয়ে দিল, নাগরিক জীবনে ঘটে যাওয়া যে কোনও অপ্রত্যাশিত, মর্মান্তিক ঘটনার ঢেউ আছড়ে পড়বেই কলকাতার বুকে। গর্জে উঠবেই নগরবাসী। এদিন অরাজনৈতিক মিছিলে হাঁটলেন বাম ছাত্রনেতা সৃজন ভট্টাচার্য, দীপ্সিতা ধররা। সকলের একটাই দাবি, ঘটনার সুবিচার চাই। দ্রুত দোষীদের গ্রেপ্তারি চাই।