সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২ বছর ধরে তিল তিল করে ‘স্বতন্ত্র বীর সাভারকর’ তৈরি করেছেন রণদীপ হুডা। নিজের প্রথম পরিচালিত সিনেমা। তাই কোনওরকম কসরত বাকি রাখেননি। খুব যত্ন নিয়ে ছবিটা করেছেন। তার মাশুলও অবশ্য গুনতে হচ্ছে রণদীপকে (Randeep Hooda)। বাবার সম্পত্তিটুকুও বেচে দিয়েছেন দামোদর সাভারকরের বায়োপিক তৈরি করতে গিয়ে।
লোকসভা ভোটের আবহে গেরুয়া রাজনীতির অস্ত্র হতে পারত এই সিনেমা। কিন্তু প্রোপাগান্ডা থিওরিই কাল হল! বক্স অফিসেও মন্দা বাজার রণদীপ হুডা পরিচালিত ‘স্বতন্ত্র বীর সাভারকর’-এর। ৮ দিনে মোটে ১.১০ কোটি টাকার ব্যবসা করতে পেরেছে। স্বাভাবিকভাবেই প্রথমবার পরিচালক হিসেবে লোকশানে ডুবেছেন রণদীপ।
‘স্বতন্ত্র বীর সাভারকর’ তৈরি করার সময়ে কতটা অর্থকষ্টের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে? সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন রণদীপ হুডা। তিনি বলেন, “অর্থনৈতিক সমস্যায় ভুগেছি। আমার বাবা বম্বেতে আমার জন্য বেশ কয়েকটি সম্পত্তি কিনে রেখে গিয়েছিলেন। সেটাই ছিল আমার সম্বল। এই সিনেমাটা তৈরি করতে গিয়ে সেগুলো সব বিক্রি করে দিয়েছি। মনে হয়েছিল, যতই কষ্ট হোক না কেন, এই ছবির কাজটা শেষ করবই।” তবে সিনেমাটার যতটা সমর্থন প্রাপ্য ছিল, সেটা পেল না। আক্ষেপ রণদীপ হুডার।
[আরও পড়ুন: ২৫০ কোটির মালকিন রণবীর-আলিয়ার মেয়ে রাহা! কীভাবে জানেন?]
বীর সাভারকরের চরিত্রে অভিনয় করার জন্য মারাত্ম বডি ট্রান্সফরমেশনের মধ্য দিয়েও যেতে হয়েছে রণদীপ হুডাকে। অভিনেতা জানালেন, “৬০ কেজিতে ওজন নামিয়েছিলাম। যতদিন ছবিটার শুটিং চলেছিল, সেটাই ধরে রাখতে হয়েছে। ২০ ঘণ্টা আমি শুধু জল, গ্রিন টি আর ব্ল্যাক কফি খেয়ে থাকতাম। পরে ছিলা একটা ছিল আর একটা ওমলেট খেতাম।” এতকিছু বিসর্জন দেওয়ার পরও বক্স অফিসে মন্দা কপাল রণদীপ হুডার। দ্বিতীয় সপ্তাহেও মুখ তুলতে পারল না। স্বাভাবিকভাবেই আক্ষেপ রয়েছে রণদীপ হুডার।