সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অনূর্ধ্ব ১৯ জাতীয় দলের হেড কোচ নিযুক্ত হলেন রঞ্জন চৌধুরী। ময়দানের পোড়খাওয়া কোচ তিনি। বাংলার সন্তোষ ট্রফির হেড কোচ ছিলেন। এবার সরাসরি অনূর্ধ্ব ১৯ জাতীয় দলের রিমোট কন্ট্রোল তাঁর হাতে উঠল। রঞ্জন চৌধুরীর সঙ্গে গোলকিপিং কোচ নিযুক্ত হয়েছেন আরেক বঙ্গসন্তান। তিনি সন্দীপ নন্দী। আই লিগে এবার মরশুমের মাঝখানে গোকুলমের গোলকিপিং কোচ হয়েছিলেন তিনি।
অনূর্ধ্ব ১৯ জাতীয় দলের হেড কোচ ও গোলকিপিং কোচের জায়গা ফাঁকা রয়েছে এবং সেই পদের জন্য কোচ নিয়োগ করা হবে, এই মর্মে বিজ্ঞাপন দিয়েছিল সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন। তার ভিত্তিতেই সংশ্লিষ্ট পদের জন্য আবেদন করেছিলেন রঞ্জন ও সন্দীপ। ইন্টারভিউয়ের পরে আজ বুধবার ফেডারেশনের তরফ থেকে সিদ্ধান্ত জানানো হয় বাংলার দুই কোচকে। যদিও কাজের ধারা, কাজের পদ্ধতি, কাজের ধরনধারণ সম্পর্কে বিশদে তাঁরা কিছুই জানেন না। সময় এগোলে তাঁরা জানতে পারবেন সবটা।
ফেডারেশনের কাছ থেকে খবরটা শোনার পরে কলকাতার তিন প্রধান এবং ভবানীপুরের প্রাক্তন কোচ রঞ্জন চৌধুরী (Ranjan Chaudhuri) সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটালকে বললেন, ''কাজটা নিঃসন্দেহে চ্যালেঞ্জিং। কারণ এই অনূর্ধ্ব ১৯ দলটাই ভারতের সিনিয়র দলের সাপ্লাই লাইন। সুনীল ছেত্রীর বিকল্প এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি। সিনিয়র দলের জন্য ফুটবলার সরবরাহ করার চ্যালেঞ্জটা নিলাম। আশা রাখি বেশ কয়েকজন ফুটবলার আমি তৈরি করতে পারব।''
[আরও পড়ুন: লখনউ ম্যাচে মেজাজ হারালেন ধোনি, বোতল ছুড়ে মারার ‘হুমকি’ ক্যামেরাম্যানকে!]
অতীতে মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গলে কাজ করেছেন রঞ্জন চৌধুরী। কিবু ভিকুনার হাত ধরে আই লিগ চ্যাম্পিয়ন হয় মোহনবাগান। সেবার কিবুর সহকারী ছিলেন রঞ্জন চৌধুরী। ইস্টবেঙ্গলে আর্মান্দো কোলাসো ও ট্রেভর মর্গ্যানের সময়ে তিনি কাজ করেছেন লাল-হলুদের হয়ে। ভবানীপুরের কোচ ছিলেন। বাংলা দলের কোচ হিসেবে কাজ করেছেন। অভিজ্ঞতার ঝুলি পরিপূর্ণ রঞ্জন চৌধুরীর। জাতীয় দলের সঙ্গে প্রথমবার কাজ করবেন তিনি। রঞ্জন বলছেন, '' কীভাবে কাজ করব, কোথায় হবে শিবির, প্লেয়ার হিসেবে কাদের হাতে পাব, এগুলো আমাকে আগে জানতে হবে। তবে নিঃসন্দেহে কাজটা চ্যালেঞ্জিং।''
রঞ্জন চৌধুরীর সঙ্গে কাজ করবেন সন্দীপ নন্দীও। খেলোয়াড় জীবেন একাধিকবার ভারতসেরা হয়েছেন। আশিয়ান কাপ জয়ী ইস্টবেঙ্গল দলে বার আগলেছিলেন সন্দীপ। আই লিগের পাশাপাশি আইএসএলেও গোলকিপিং কোচ হিসেবে কাজ করেছেন বর্ধমানের ছেলেটি। সন্দীপও এখনও বিশদে কাজের ধরনধারণ জানেন না। তিনি বলছেন, ''জাতীয় দলের হয়ে কাজ করতে চাই, এ আমার দীর্ঘদিনের স্বপ্ন। জাতীয় দলের হয়ে কাজ করা সব সময়ে চ্যালেঞ্জের। আমি আশাবাদী।''
[আরও পড়ুন: ‘তোমার কভার ড্রাইভের মতোই সুন্দর হোক বছরটা’, জন্মদিনে শচীনকে শুভেচ্ছা যুবি থেকে জয় শাহের]