সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের একবার বাংলার সন্তোষ ট্রফি (Santosh Trophy) দলের কোচ হলেন রঞ্জন চৌধুরী। এর আগে ২০১৮ সালেও সন্তোষ ট্রফির মঞ্চে বাংলা দলের কোচিং করিয়েছিলেন ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগানের প্রাক্তন সহকারী কোচ। চলতি মরশুমে ভবানীপুরের কোচ হিসেবে রয়েছেন প্রাক্তন ফুটবলার। সোমবার অর্থাৎ ১১ সেপ্টেম্বর আইএফএ অফিসে রঞ্জনের হাতে দায়িত্ব তুলে দেন সংস্থার সচিব অনির্বাণ দত্ত।
এতদিন সন্তোষ ট্রফিতে বাংলার কোচ হত বাছাইয়ের ভিত্তিতে। সেই নিয়মের এবার বদল ঘটছিল। নয়া নিয়মে, বাংলা দলের কোচ হতে গেলে আই এফ এ – র কাছে আবেদন করতে হত। রঞ্জন আবেদন করেছিলেন।
আসন্ন সন্তোষ ট্রফির জন্য বাংলা দলের কোচ নির্বাচন নিয়ে নয়া ফর্মুলা নিয়ে এসেছিল আইএফএ। অতীতে দেখা গিয়েছে নিজেদের পছন্দ মতোই সন্তোষ ট্রফির জন্য কোচ নির্বাচন করতেন আইএফএ কোচেস কমিটি।
যদিও গত বছর থেকে সেই নিয়ম বদলে দেন সচিব অনির্বাণ দত্ত। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, আগের নিয়ম আর চলবে না। এবার যাঁরা কোচ হতে চাইবেন, তাঁরা সরাসরি আইএফএ- কে আবেদন করতে পারবে।
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড কিংবা সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন জাতীয় দলের কোচ নির্বাচনের জন্য আগ্রহী কোচেদের কাছ থেকে আবেদন পত্র নিয়ে থাকে। সেই একই নিয়মের পথে হেঁটেছিল বাংলা ফুটবল নিয়ামক সংস্থা। আইএফএ সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যে,আসন্ন সন্তোষ ট্রফির জন্য বাংলা দলের কোচ হতে যারা আগ্রহী তাদেরকে সরকারি ভাবে আইএফএ-এর কাছে আবেদন করতে হবে।
সেক্ষেত্রে দুটি শর্তও বেঁধে দিয়েছিল আইএফএ। সেগুলি ছিল, ১) আবেদনকারীর সর্বোচ্চ পর্যায়ে অন্তত পাঁচ বছরের কোচিং করার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। ২) আবেদনকারী কোচের ‘এ’ লাইসেন্স থাকাটা বাধ্যতামূলক। এই দুটি শর্ত মেনেই বাংলার কোচ হওয়ার জন্য আইএফএ-এর কাছে আবেদন করতে পারবেন আগ্রহী কোচেরা। আবেদন পত্র জমা হওয়ার পর চূড়ান্তভাবে কোচ নির্বাচন করবেন আইএফএ-এর নির্বাচক কমিটি। প্রয়োজনে আবেদনকারী কোচের ইন্টারভিউও নিতে পারেন নির্বাচক কমিটির সদস্যরা। আর সেই নিয়মেই রঞ্জন ফের একবার বাংলা দলের কোচের দায়িত্ব নিলেন।