কেরল: ৩৫৬/৯ ডিঃ ( সলমন ৯৫ নঃআঃ, আজহারউদ্দিন ৮৪, ঈশান ৬/১০৩)
বাংলা: ১৮১/৩ (শুভম ৬৭, সুদীপ ৫৭, অদিত্য ২/৩০)।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দুটো হোম ম্যাচ থেকে দুই পয়েন্ট! রনজি ট্রফিতে আপাতত এই বাংলার প্রাপ্তি। বিহারের পর কেরলের বিরুদ্ধেও স্রেফ এক পয়েন্ট নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হল ঈশান পোড়েলদের। যার জন্য অনেকটা দায়ী আবহাওয়া, আবার কিছুটা দায়ী পিচও। কারণ যাই হোক, আপাতত বাংলার পক্ষে নকআউটে ওঠার লড়াইটা বেশ কঠিন।
মঙ্গলবার লাঞ্চের সময়ই মোটামুটি পরিষ্কার হয়ে যায় কেরল ম্যাচের ভবিষ্যৎ কী হতে চলেছে। কেরল খানিক আগেই ৩৫৬/৯ তোলার পর ডিক্লেয়ার করে দেয়। বাংলা যে আর তিন পয়েন্টের জন্য অলআউট ঝাঁপাবে না, সেটা পরিষ্কার। সল্টলেকের যাদবপুর ক্যাম্পাসের উইকেট যতই পাটা হোক না কেন, দু’খানা সেশনে সাড়ে তিনশো তাড়া কার্যত অসম্ভব। বাংলাও আর বেশি ঝুঁকি নেয়নি। অভিষেক ম্যাচ শুভম দে হাফসেঞ্চুরি করলেন। সুদীপ চট্টোপাধ্যায় আবারও রান করলেন। শেষমেশ বাংলা তুলল ১৮১/৩। যার ফলে দুটো টিমই এক পয়েন্ট করে পেল।
বাংলার প্রাপ্তি বলতে শুধুই ঈশান পোড়েলের প্রত্যাবর্তন। এছাড়া প্রাপ্তির ভান্ডারে তেমন কিছুই নেই। বরং দুটো হোম ম্যাচে দুই পয়েন্ট পেয়ে নকআউটের রাস্তা ভীষণ কঠিন হয়ে গেল বাংলার। অবশ্য এর জন্য টিমকে কোনও দোষ দেওয়া যাবে না। বরং সিএবিকে একগুচ্ছে প্রশ্নের সামনে দাঁড় করিয়ে দিয়ে গেল। যে ম্যাচ থেকে (বিহার) বাকি টিমগুলো পুরো পয়েন্ট তুলছে, কল্যাণীতে সেই ম্যাচটাই ভেস্ত যায়। চারদিনের মধ্যে একটা দিনও খেলা শুরু করা যায়নি মাঠে ভেজার জন্য। এই ম্যাচে আবার যাদবপুর ক্যাম্পাসের মাঠে সবুজ উইকেট চেয়েছিল বাংলা। বিহার ম্যাচ ভেস্তে যাওয়ার পর বঙ্গ টিম ম্যানেজমেন্ট চেয়েছিল কেরলের বিরুদ্ধে অলআউট ঝাঁপাতে। তার জন্য একেবারে গ্রিন টপ চেয়েছিল। কিন্তু তার পরিবর্তে আদ্যোপান্ত পাটা বাইশ গজে খেলতে হল বাংলাকে। এটা ঠিক যে প্রবল বৃষ্টির জন্য দেড় দিনের বেশি খেলা হয়নি। কিন্তু বাংলা টিমের বক্তব্য হল তারপর প্রায় আড়াই দিন খেলা হয়েছে। সেখানেও তিন পয়েন্ট পাওয়া যেত।