সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রেস্তরাঁর বাইরে বড় ব্যানার। ব্যানারে লেখা ‘সুদীপার রান্নাঘর’। তার নিচে আবার লেখা ‘মহানগরের মহাভোজের আনন্দ এবার পুরীতে’। ব্যাপার কী? তাহলে কি জগন্নাথদেবের ধামে রেস্তরাঁ ব্যবসা শুরু করলেন সুদীপা চট্টোপাধ্যায় (Sudipa Chatterjee)? যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর ফেসবুকে দিলেন তারকা।
মঙ্গলবার ফেসবুকে রেস্তরাঁর ব্যানারের ছবি শেয়ার করে সুদীপা লেখেন, “পুরীর এই রেস্তরাঁটির সাথে আমার ও আমার পরিবারের কেউ যুক্ত নয়। এরা বেআইনিভাবে – আমার নাম ও আমার পুরনো রেস্তোরাঁর লোগোও ব্যাবহার করছে। দীর্ঘদিন ধরে করছে। আমি প্রথমে ভেবেছিলাম- কিছু বলব না… কেউ যদি আমার নামকে সম্মান দিয়ে দু-পয়সা রোজগার করে- তা তো ঈশ্বর ওনার জন্য স্থির করে রেখেছেন। আমি আটকাবো কেন?”
[আরও পড়ুন: শাহরুখের নেড়া মাথার ট্যাটুতেই কী লুকিয়ে ‘জওয়ান’-এর গল্প? উত্তর খুঁজতে কালঘাম ভক্তদের]
তবে বেশ কিছুদিন ধরে নাকি এ নিয়ে অভিযোগ আসছিল। সেকথা জানিয়ে সুদীপা লেখেন, “অনেকের অনেক অভিযোগ আসতে থাকার পর, এই সিদ্ধান্ত নিলাম যে, এটা আর চলতে দেওয়া যায় না। কারণ, আগামী দিনে কেউ ওঁদের খাবার খেয়ে অসুস্থ হলে- সে দায় তো আমার ওপরও খানিকটা বর্তায়? তাই,আমার ফেসবুকের সকল বন্ধুদের কাছে আমার বিনীত অনুরোধ, কেউ যদি ওই রেস্তরাঁর কর্ণধারকে চেনেন- তাহলে তাঁকে এ বিষয়ে অবগত করে অবিলম্বে আমার সাথে যোগাযোগ করতে বলুন। নয়তো আমাকে আইনানুগ ব্যাবস্থা নিতে হবে- যা আমার একান্তই অনিচ্ছার। আমি একদমই কোনও ব্যবসায়িক ক্ষতি চাই না। শুধু আমার নাম আর লোগো- তাঁরা আমার বিনা অনুমতিক্রমে যেন ব্যবহার না করেন। এই মুহূর্তে কেউ পুরী বেড়াতে গেলে- যদি বন্ধু হিসাবে আমার এটুকু উপকার করেন- তাহলে চিরকৃতজ্ঞ থাকব। জয় জগন্নাথ।”
প্রসঙ্গত, Zee বাংলার ‘রান্নাঘর’ শোয়ের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে সুদীপা চট্টোপাধ্যায়। ২০০৫ সাল থেকে দর্শকদের মনোরঞ্জন করেছে এই শো। জনপ্রিয়তার শিখরেও বহুবার পৌঁছেছে। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়, কোয়েল মল্লিক, ঊষা উত্থুপ থেকে সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়, নুসরত জাহান — বহু তারকা এই শোয়ের অতিথি হিসেবে এসেছেন। কেউ রান্না করেছেন, কেউ আবার রান্না করা পদ চেখে দেখেছেন। জনপ্রিয় এই শোয়ের অঙ্গ হয়েছেন আম জনতাও। তাঁদের প্রতিভার প্রতিফলন ছোটপর্দায় দেখা গিয়েছে।