সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আবারও নৃশংসতা যোগীর উত্তরপ্রদেশে (UttarPradesh)। ফিরল উন্নাওয়ের স্মৃতি! হাজার চাপ সত্ত্বেও অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা তুলতে রাজি হয়নি ১৫ বছরের কিশোরী। শেষপর্যন্ত তাঁকে পুড়িয়ে মারল অভিযুক্তের আত্মীয় ও বন্ধুরা।
হাসপাতালে নিয়ে আসার পর তাঁকে চিকিৎসার জন্য দিল্লি পাঠানো হচ্ছিল। কিন্তু দিল্লি নিয়ে যাওয়ার পথেই তাঁর মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় বুধবার সকাল পর্যন্ত অভিযুক্তর এক আত্মীয় ও দুই বন্ধুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে কড়া শাস্তি মুখে পড়েছে একাধিক পুলিশ কর্মী।
[আরও পড়ুন : ছিঃ! উত্তরপ্রদেশের সরকারি ইঞ্জিনিয়ারের যৌন লালসার শিকার ৫০ নাবালিকা]
স্বাধীনতা দিবস অর্থাৎ গত ১৫ আগস্ট বুলন্দশহর জেলার এক গ্রামে যৌন নির্যাতনের শিকার হয় ওই নাবালিকা। অভিযুক্ত তাঁদের গ্রামে আমবাগান পাহারা দিতে এসেছিল বলে খবর। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সে এখনও জেলেই রয়েছে বলে খবর। এদিকে ধর্ষণের মামলা তুলে নেওয়ার জন্য কিশোরীর উপর ক্রমাগত চাপ আসতে থাকে বলে অভিযোগ। অনুরোধে কাজ না হওয়ায়, মঙ্গলবার অভিযুক্তর আত্মীয়রা নাবালিকাকে মেরে ফেলার চেষ্টা করে বলে জানিয়েছেন কিশোরীর বাবা। অভিযোগ, নির্যাতিতার গায়ে পেট্রোল ঢেলে জ্বালিয়ে দেয় অভিযুক্তরা।
[আরও পড়ুন : পাশবিক! এবার ৬ বছরের শিশুকন্যাকে গণধর্ষণের পর ফুসফুস উপড়ে নেওয়া হল উত্তরপ্রদেশে]
মঙ্গলবার সকাল আটটা নাগাদ অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় কিশোরীকে বুলন্দশহর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে দিল্লি পাঠানো হয়। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছিল ক্রমাগত চাপের মুখে পড়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে মেয়েটি। যদিও পরে মৃত কিশোরীর বাবা জানান, “অভিযুক্তের কাকা ও তার দুই বন্ধু মামলা তুলে নেওয়ার চাপ দিচ্ছিল। মেয়ে তাতে রাজি না হওয়ায় পেট্রোল ঢেলে পুড়িয়ে দিয়েছে।”
ঘটনা প্রসঙ্গে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের এসএসপি সন্তোষ কুমার সিং বলেন, “১৫ আগস্ট ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছিল। অভিযু্ক্ত এখনও জেলে। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছিল, মেয়েটি আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে। পরে অবশ্য পরিবার খুনের অভিযোগ এনেছে। এখনও পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সমস্তদিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” তদন্তে গাফিলতির অভিযোগ ইতিমধ্যে দুই পুলিশ কর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে খবর। দুই পদস্থ আধিকারিককেও ছুটিতে পাঠানো হয়েছে।