সুকুমার সরকার: অমিতাভের ‘পা’ ছবির দৃশ্যগুলি চোখের সামনে জ্বলজ্বল করছে৷ এ যেন ‘পা’-এর থেকেও ভয়ঙ্কর৷
অকুস্থল ঢাকা থেকে ১৮০ কিলোমিটার দূরের জেলা মাগুরা৷ এক হত দরিদ্র পরিবারের সন্তান বায়োজিদ৷ বয়স মাত্র ৪ বছর৷ কিন্তু চেহারায় পুরোপুরি বার্ধ্যকের ছাপ৷ অর্থের অভাবে এতদিন সামান্য চিকিৎসা করাতে পারেননি বাবা লাবলু শিকদার৷ সম্প্রতি বেশ কিছু সংবাদ মাধ্যমে বায়োজিদের খবর প্রকাশিত হয়৷ তাতেই ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল চিকিৎসকের নজরে আসে বায়োজিদ৷ মাগুরার সিভিল সার্জেন্ট অফিস থেকে উদ্যোগ নিয়ে শিশুটিকে সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়৷ হাসপাতালের শিশু বিভাগের চিকিৎসক জয়ন্ত কুণ্ডু জানাচ্ছেন, “আমরা গবেষণা শুরু করেছি৷ এই ধরনের রোগ গোটা দেশে দ্বিতীয়বার সামনে এল৷ এই রোগের কোনও চিকিৎসা আমাদের জানা নেই৷ আক্রান্ত শিশুরা দশ-বারো বছর বাঁচে৷”
মাগুয়ার মহম্মদপুরের লাবলু শিকদার ও তৃপ্তি খাতুনের ছেলে বায়োজিদ৷ প্রথমে সব কিছুই ঠিক ছিল৷ ছয় মাস বয়সের পর থেকেই বায়োজিদের চেহারায় পরিবর্তন আসতে শুরু করে৷ গত তিন বছরে তার শরীরে বার্ধ্যকের ছাপ আরও প্রকট হয়৷ বয়স্কদের মতো মুখ, শরীরের নানা অংশের চামড়া কুঁচকে গিয়েছে৷ একটিও দাঁত নেই৷ সবগুলি পড়ে গিয়েছে৷ ঠিক মতো কথা বলতে পারে না৷ তবে স্বাভাবিক চলাফেরা ও খাওয়া-দাওয়া করে সে৷ আস্তে আস্তে সে দুর্বল হচ্ছে বলেই জানিয়েছেন মা তৃপ্তি৷
এক প্রশ্নের উত্তরে তৃপ্তি জানালেন, “আমরা সব মেনে নিয়েছি৷ চিকিৎসকরাও আশা ছেড়ে দিয়েছেন৷ জানি বায়োজিদ বেশি দিন বাঁচবে না৷ আমাদের আর্থিক সামর্থ্য নেই৷ যতটুকু পারব চেষ্টা করব৷”
The post বিরল রোগ, চার বছরেই দর্শন আশির মতো appeared first on Sangbad Pratidin.