সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মানবিকতা আজও বেঁচে আছে। ইঁদুর দৌড়ের দুনিয়াতেও কিছু কিছু মানুষ এখনও সেই মানবিকতাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন। পদে পদে তাঁরা বুঝিয়ে দেন, মালিক-কর্মচারী, প্রভু-ভৃত্যের বাইরেও কিছু সম্পর্ক হয়। তেমনই এক নাম রতন টাটা (Ratan Tata) ।
টাটা সাম্রাজ্যের মালিক হয়েও মানুষটা বরাবরই মাটির কাছাকাছি থেকেছেন। প্রচারের আড়ালে থেকে একের পর এক মহৎ কাজ করে গিয়েছেন। নিজেকে শিল্পপতি নয় বরং উদ্যোগপতি হিসেবে পরিচয় দিতে বেশি স্বচ্ছন্দ বোধ করেন রতন টাটা। তা না হলে লিংকডিনের পোস্ট দেখে প্রাক্তন কর্মচারীর বাড়িতে তিনি কীভাবে পৌঁছে যেতেন!
[আরও পড়ুন : তাজমহলে গেরুয়া ঝান্ডা ওড়ানো নিয়ে তুঙ্গে বিতর্ক, ভিডিও ভাইরাল হতেই গ্রেপ্তার ৪]
লিংকডিন থেকে তিনি জানতে পারেন তাঁর সংস্থার এক পুরনো কর্মী গত ২ বছর ধরে গুরুতর অসুস্থ। শয্যাশায়ী। খবরটা পাওয়ার পর এক মুহূ্র্ত আর দেরি করেননি তিনি। মুম্বই থেকে গাড়ি নিয়ে সোজা পুণের ফ্রেন্ডস সোসাইটিতে হাজির হয়েছিলেন রতন টাটা। সঙ্গে ছিলেন না কোনও নিরাপত্তরক্ষী, না কোনও সংবাদমাধ্যমের কর্মী। জানা গিয়েছে, সংস্থার প্রাক্তন কর্মীর সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন তিনি। তাঁর শারীরিক অবস্থার কথা জানতে চান। ওই কর্মীর চিকিৎসার দায়িত্ব নেন। তাঁর ছেলেমেয়েদের উচ্চশিক্ষার খরচও বহন করবেন বলে জানান রতন টাটা। যোগেশ দেশাই নামে এক লিংকডিন ইউজার এই ঘটনার কথা শেয়ার করেছেন।
রতন টাটার এমন কীর্তি অবশ্য নতুন নয়। ২৬/১১ হামলায় আক্রান্ত ৮০ কর্মীর বাড়িতে ব্যক্তিগতভাবে হাজির হয়েছিলেন তিনি। তাঁদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। পরিবারের খরচ বহনের আশ্বাস দিয়েছিলেন। মহামারীর মাঝে তাঁর সংস্থা থেকে একজনক কর্মীকেও ছাঁটাই করা হয়নি। উলটে ছাঁটাইয়ের বিরোধিতা করেছিলেন তিনি। এসবের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় একটাই প্রশ্ন উঠছে, কে বলেছে বসেরা ভাল হন না?