স্টাফ রিপোর্টার: তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) বারবার ‘দিদি’ বলে ডাকছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। প্রতিবাদ জানিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস এ নিয়ে আইনি পদক্ষেপের ইঙ্গিত দিয়েই রেখেছিল। তাদের আগেই সেই পদক্ষেপ করল শহরের একটি নাগরিক সংগঠন। সংগঠনের সদস্য ও সদস্যারা আমহার্স্ট স্ট্রিট থানায় লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। তাঁদের দাবি, মোদির বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ২৯৪ ধারায় মামলা করতে হবে। সেই নালিশে মোদির নাম নিয়ে তাঁরা জানিয়েছেন, মোদি প্রচারে গিয়ে ব্যঙ্গ করে মুখ্যমন্ত্রীকে যেভাবে ‘দিদি, ও দিদি’ বলে ডাকছেন, তা সমাজে প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে। ইভটিজিংয়ের শিকার হচ্ছেন মহিলারা। ওই ডাক নকল করে রাস্তাঘাটে মহিলাদের সম্মানহানি করছে কিছু ইভটিজার।
শুধু থানায় অভিযোগই নয়, ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে রাস্তায় নেমেছেন সংগঠনের মহিলারা। তাঁদের যুক্তি, এই ডাক শ্রদ্ধার নয়। ব্যঙ্গের। অভিযোগ করে জানিয়েছেন, ভোটের প্রচারে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ব্যঙ্গ করেছেন মোদি। এ নিয়ে বিক্ষোভও দেখান তাঁরা। কর্মসূচিতে শামিল হন অন্য নাগরিকরাও। বিক্ষোভের পর আমহার্স্ট স্ট্রিট থানায় লিখিত অভিযোগ জানানো হয়। বক্তৃতার সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশে “দিদি, ও দিদি” বলেছিলেন মোদি। এই ডাক ঘিরে ঝড় শুরু হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়।
[আরও পড়ুন: ‘বিজেপি নেতাদের ধমকাবেন না, আমাদের পায়ের নিচেই চাকরি করতে হবে’, পুলিশকে হুঁশিয়ারি দিলীপের]
কয়েক সেকেন্ডের ফুটেজ রীতিমতো ভাইরাল ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপে। উড়ে আসে নেটিজেনদের হাজার হাজার মন্তব্য। বিজেপির দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘দিদি’ বলে ডেকে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষে অভিযোগ তোলা হয়, এই ডাক মুখ্যমন্ত্রীকে ব্যঙ্গ ছাড়া অন্য কিছুই নয়। এতদিন বিষয়টি মন্তব্য, পালটা মন্তব্য ও সোশ্যাল মিডিয়ার মধ্যেই ঘোরাফেরা করছিল। কিন্তু এবার এই ব্যাপারে প্রতিবাদ নেমে এল রাস্তায়। কলকাতারই একটি সংগঠনের সদস্য ও মহিলা সদস্যরা এদিন বিকেলে উত্তর কলকাতার আমহার্স্ট স্ট্রিটে প্রতিবাদ জানান।
অমৃতা মুখোপাধ্যায়, জয় মুখোপাধ্যায়, সুইটি দাস, নেহা হাজরা, দেবদ্যুতি দেব, বাবান সোম ও অন্যদের অভিযোগ, “মোদি প্রচারে গিয়ে ব্যঙ্গ করে মুখ্যমন্ত্রীকে “দিদি, ও দিদি” বলে ডেকেছেন। তার প্রভাব পড়ছে সমাজে। ওই ডাক নকল করে কিছু ইভটিজার কলকাতার মহিলাদের সম্মানহানি করছে।” মহিলাদের দাবি, সেই কারণে মোদির বিরুদ্ধে পুলিশ যেন আইনি ব্যবস্থা নেয়। অভিযোগটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।