সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কবে গড়াবে দিঘার রথের চাকা? তা নিয়ে নানা জল্পনা মাথাচাড়া দিয়েছে। তবে সমস্ত জল্পনার অবসান করলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। শুক্রবার X হ্যান্ডেলে পোস্ট করে তিনি জানান, চলতি বছর দিঘায় গড়াচ্ছে না রথের চাকা। তবে পরের বছর থেকে রথযাত্রা দিঘাতেও হবে।
রাজ্য সরকারের উদ্যোগে পুরীর আদলে দিঘায় তৈরি হচ্ছে জগন্নাথ মন্দির। চলতি বছরের এপ্রিল মাসে এই মন্দিরটির উদ্বোধন হওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘোষণার পর তোড়জোড় শুরু হয় প্রশাসনিক মহলে। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনের জন্য থমকে যায় উদ্বোধনের কাজ। নির্বাচনী প্রচারে এসে মুখ্যমন্ত্রী জানান, দিঘার জগন্নাথ মন্দিরে নির্মাণ কাজ প্রায় শেষের পথে। কিন্তু দিঘায় জগন্নাথদেবের মন্দির তৈরির কাজ এখনও শেষ হয়নি। মমতা X হ্যান্ডেলে শুক্রবার নির্মীয়মাণ জগন্নাথ মন্দিরের একটি ভিডিও পোস্ট করেন। তিনি লেখেন, "দিঘায় রথযাত্রা পরের বছর থেকে পালিত হবে। কিছু কাজ এখনও শেষ হয়নি। পরের বছর থেকে রথযাত্রা শুরুর আগেই তা সম্পূর্ণ হওয়া জরুরি।"
[আরও পড়ুন: সুদীপ্তর থেকে দেড় কোটি নিয়েছিলেন চিদম্বরম জায়া নলিনী! সারদা মামলায় ইডির চার্জশিট]
পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের মতোই উচ্চতা হবে দিঘার এই মন্দিরটিরও। পাশাপাশি মন্দিরের পারিপার্শ্বিক নকশাও কিছুটা একই থাকছে। মহাপ্রভুর ভোগ বিতরণের জন্য পুরীতে নির্দিষ্ট জায়গা রয়েছে। দিঘার মন্দিরেও তার জন্য আলাদা ব্যবস্থা থাকবে। নির্দিষ্ট জায়গায় ভক্তদের জন্য ভোগ বিতরণের পরিকল্পনা রয়েছে। পুরীর মন্দিরের তুলনায় সেই ব্যবস্থা দিঘায় কিছুটা বাড়তিই রাখা হয়েছে। পুরীর মন্দিরের একটি বিশেষত্ব হল সেখানকার ধ্বজা। প্রতিদিন যার পরিবর্তন হয়। ধ্বজার বদলের সেই প্রক্রিয়া বিস্মিত করে দেয় ভক্তদের। মন্দিরের গা বেয়ে সোজা উপরে উঠে যান ৩ জন। কারও মুখ থাকে সমুদ্রের দিকে, কেউ মন্দিরের দিকেই। চূড়োয় উঠে ধ্বজা বদলে সমুদ্র-আরতি সেরে নিচে নামা।
শোনা যায়, বংশ পরম্পরায় সেই কাজ হয়। তার জন্য ছোট থেকেই বিশেষ প্রশিক্ষণের মধ্যে দিয়ে যান সেই বংশের সন্তানরা। এখনও পর্যন্ত যা খবর, ধ্বজা বদল হবে রোজই। তা অবশ্য হবে অন্য প্রক্রিয়ায়। মন্দির নির্মাণের পরিকল্পনা সামনে আসতেই পুরীর বিগ্রহের ছবি রাজস্থানের শিল্পীদের পাঠিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তখনই সেখানকার শিল্পীরা সেই প্রস্তর মূর্তি তৈরির কাজে লেগে পড়েন। বিগ্রহ সম্পূর্ণ হয়ে রাজ্যে পৌঁছনোর পর থেকেই তা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর তত্ত্বাবধানে। দিঘার মন্দির সম্পূর্ণ হলে নির্দিষ্ট সময় মহাপ্রভুর প্রতিষ্ঠা হবে।