মলয় কুণ্ডু: রেশন কার্ডের (Ration Card) সঙ্গে আধার কার্ড সংযুক্তিকরণের কাজে আরও গতি আনতে বিশেষ ব্যবস্থা নিল রাজ্য সরকার। খাদ্যদপ্তর ই-কেওয়াইসি ব্যবস্থা চালু করেছে। যাতে রেশন দোকানে গিয়ে একইসঙ্গে আধার কার্ডের সংযুক্তিকরণ ও বৈধতা যাচাই হয়ে যাবে। রেশন দোকানে থাকা ই–পস মেশিনের মাধ্যমে আধার নির্ভর এই বায়োমেট্রিক প্রামাণ্যের কাজ দ্রুত করা সম্ভব হবে বলে দপ্তর সূত্রে খবর।
দপ্তরের পক্ষ থেকে এক নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, যাঁদের এখনও পর্যন্ত এই সংযুক্তিকরণের কাজ হয়নি, তাঁদেরও চিন্তার কোনও কারণ নেই। জুলাই এবং আগস্ট এই দু’মাস সমীক্ষকরা বাড়ি-বাড়ি যাবেন। তাঁদের কাছে এই সংযুক্তিকরণের কাজ করিয়ে নিতে হবে অথবা রেশন দোকানে গিয়ে এই কাজ করা যাবে। এর জন্য পরিবারের সব সদস্যকে একসঙ্গে রেশন দোকানে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। দপ্তর তার পর্যবেক্ষণে দেখেছে যে মাসের প্রথম সপ্তাহে রেশন তোলার জন্য ভিড় হয়। প্রথম সপ্তাহ ছেড়ে তাই মাসের ৮ তারিখ থেকে গোটা মাস রেশন দোকানে গিয়ে এই সংযুক্তিকরণের কাজ করা যাবে।
[আরও পড়ুন: নিঃশব্দ কামড় কালাচের, সময়মতো উপসর্গ ধরতে পেরে রোগীর প্রাণ বাঁচালেন Group D কর্মী!]
৩১ জুলাইয়ের মধ্যে সুপ্রিম কোর্ট দেশজুড়ে ‘এক দেশ এক রেশন কার্ড’ চালু করার নির্দেশ দিয়েছে। তার জন্য আধারের সঙ্গে রেশন কার্ডের সংযুক্তিকরণ জরুরি। রাজ্য সরকার অনেক আগে থেকেই এই কাজ শুরু করে দিয়েছে। শুধু তাই নয়, আধার ও রেশন কার্ড সংযুক্তিকরণ সারা হয়ে গেলে ভুয়া রেশন কার্ডের সমস্যারও বহুলাংশে সমাধান হবে। তাই দ্রুত এই কাজ এগিয়ে নিয়ে যেতে চাইছে খাদ্যদপ্তর। খাদ্যদপ্তর সূত্রে খবর, রাজ্যে এখন প্রায় ১০ কোটি ৩০ লক্ষ গ্রাহক রয়েছেন। এই সমস্ত গ্রাহকের রেশন কার্ডের সঙ্গে আধার সংযুক্তিকরণের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। সেই কাজে আরও গতি আনতেই এবার এই নির্দেশ জারি করেছে খাদ্য দপ্তর।
দপ্তর সূত্রে খবর, রেশন ডিলারদের কাছে থাকা ই–পস মেশিনের মাধ্যমে অনলাইনে আধার সংযুক্তিকরণ হয়ে গেলে কেন্দ্রীয়ভাবে সব কিছুর উপর নজরদারি করা সম্ভব হবে। গ্রাহকরা খাদ্যসামগ্রী নিলেই সঙ্গে সঙ্গে খাদ্যদপ্তর জানতে পেরে যাবে গ্রাহকের পরিচয় এবং তিনি কতটা খাদ্যসামগ্রী পেলেন, এমন সমস্ত খুঁটিনাটি বিষয়। কারণ গোটা ব্যবস্থাটি কেন্দ্রীয় সার্ভারে যুক্ত থাকবে। একইসঙ্গে এক দেশ এক রেশন কার্ড চালু হলে দেশের যে কোনও বাসিন্দা যে কোনও জায়গা থেকে রেশন পাবেন। আগেই খাদ্যদপ্তর নির্দেশিকায় জানিয়েছিল, দু’মাসের মধ্যে গোটা প্রক্রিয়া শেষ করে ফেলতে হবে। দু’বার করে বাড়ি যাওয়ার কথা বলা হয়েছে। তার পরেও কেউ বাকি থাকলে, পাড়ায় বা এলাকার স্কুলে, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে শিবির করা হবে। প্রয়োজনে পঞ্চায়েত বা ওয়ার্ড অফিসেও শিবির করা যেতে পারে বলে নির্দেশ রয়েছে। বাংলা সহায়তা কেন্দ্রে এই কাজ করতে পারবেন গ্রাহকরা।