নব্যেন্দু হাজরা: দুয়ারে নয়, দোকানেই রেশন দিতে চান ডিলাররা। কারণ নতুন ব্যবস্থায় অনেকেই রেশন পাচ্ছেন না বলে দাবি ডিলারদের। তাছাড়া সরকার যে কমিশন তাঁদের জন্য ধার্য করেছে তাতেও দুয়ারে রেশন পৌঁছানো সম্ভব নয় বলে জানাচ্ছেন তাঁরা। আর তাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে স্পিড পোস্টে নিজেদের সমস্যার কথা জানিয়ে নতুন কর্মসূচি শুরু করছেন রাজ্যের রেশন ডিলাররা। নাম দেওয়া হয়েছে, ‘দিদির পায়ে ডিলারের আর্তনাদ’।
গোটা রাজ্যের সমস্ত ডিলাররা তাঁদের সমস্যার কথা লিখে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দেবেন স্পিড পোস্টে। শুধু তাই নয়, আগামী ২৭ ডিসেম্বর সোমবার শ্যামবাজার পাঁচমাথার মোড় এবং বাবুঘাট থেকে দু’টি মিছিল বের করবেন ডিলাররা। যা রানি রাসমনি রোডে মিলিত হয়ে এই কর্মসূচিকে সফল করবে। বুধবার সাংবাদিক সম্মেলন করে সেকথা জানান জয়েন্ট ফোরাম ফর ওয়েস্টবেঙ্গল রেশন ডিলার্সের প্রতিনিধিরা।
[আরও পড়ুন: প্রথমবার লটারির টিকিট কিনেই ফিরল ভাগ্য! কোটিপতি মালবাজারের যুবক]
প্রতিনিধিদের আরও দাবি, সরকার যে কমিশন তাঁদের দিচ্ছে, তাতে দুয়ারে রেশন করা তাঁদের পক্ষে সম্ভব নয়। তাছাড়া সাধারণ মানুষও চাইছেন দোকানে গিয়েই রেশন নিতে। পাড়ার মোড়ে দাঁড়িয়ে অনেকেই রেশন নিতে চাইছেন না। আর সবথেকে সমস্যা বাড়াচ্ছে রেশন দেওয়ার ক্ষেত্রে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে রেশন দেওয়ার ফলে বহু মানুষ রেশন নিতে পারছেন না। কারণ রেশন তুলতে এসে দেখা যাচ্ছে, কারও আঙুলের ছাপ মিলছে না। কারও মোবাইলে ওটিপি আসছে না। তাছাড়া বহু বাচ্চাদের তো আধার কার্ডও নেই। যে কারণে গত কয়েকদিনে অন্তত ২০ শতাংশ মানুষ রেশন তোলা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বলে জানাচ্ছেন সংগঠনের প্রতিনিধিরা।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বম্ভর বসু বলেন, “সাধারণ মানুষ চাইছেন আগের মতো দোকান থেকেই রেশন তুলতে। পাড়ায় দাঁড়িয়ে চাইছেন না। তাছাড়া আমাদের যে কমিশন সরকার দিচ্ছে তাতে গাড়ি নিয়ে পাড়ায় রেশন পৌঁছে দেওয়া সম্ভব নয়। তাই আমরা দিদির কাছে আমাদের সমস্যার কথা জানিয়ে আর্তনাদ করছি।”